আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,আমরা সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ চাই, সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ চাই।বিশৃঙ্খলা চাই না। সুবিধাবাদীদের দলে চাই না।অতিথি পাখিদের স্থান হবে না আওয়ামী লীগে। ত্যাগী কর্মীদের নেতা বানানো হবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নগরের লালদিঘি ময়দানে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন,আমাদের বহু কর্মী আছে। খারাপ লোকের কোনো প্রয়োজন নেই।বুয়েটে আবরারকে যারা হত্যা করে- এই কর্মীর আমাদের প্রয়োজন নেই।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কথায় কথায় যারা কলহ করে,মারামারি করে এই কর্মীর আমাদের প্রয়োজন নেই।যারা রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে পানিতে ফেলে দেয় এই কর্মীর আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই।মাস্তানি করে,গডফাদারগিরি করে নেতা হওয়া যাবে না।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এর আগে সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
সম্মেলনে উত্তর চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলা,পৌরসভা, ইউনিয়ন থেকে ১৫-২০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীর সমাগম হয়।দ্বিতীয় পর্বে বিকেল ৩টায় নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিলর অধিবেশন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আতাউর নির্বাচিত হয়েছেন।শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন।সভাপতি পদে এমএ সালাম ২২৩ ভোট ও এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ১২৯ ভোট পেয়েছেন।সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আতাউর রহমান ১৯৬ ভোট ও গিয়াস উদ্দিন ১৫৪ ভোট পেয়েছেন।কেন্দ্রীয় নেতারা এসময় উপস্থিত থেকে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন।