ঢাকার আশেপাশেই নির্মাণ হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ মার্চ, ২০১৯ ১২:২৫ : পূর্বাহ্ণ 538 Views

কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর স্থাপন করার বিষয়ে আলোচনা হয়ে আসছে। প্রথমদিকে মাদারীপুর কিংবা শরীয়তপুরে এই বিমানবন্দরটি নির্মাণ হওয়ার কথা থাকলেও খাসজমির সংকট ও স্থানীয় অধিবাসীদের উচ্ছেদকে বাধা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে সরকার। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকার আশেপাশেই নির্মিত হতে যাচ্ছে বিমানবন্দরটি। আর ঢাকার আশেপাশে বিমানবন্দর করার পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই জমি খোঁজা শুরু করে দিয়েছে জাপানী পরামর্শক কোম্পানি নিপ্পন কোয়েই লিমিটেড।
বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে নতুন জমি নির্বাচন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গত মাসে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবার ঢাকার আশপাশে এ প্রকল্পের জন্য জমি নির্বাচন করবে। ঢাকার পাশে আগে যেসব স্থান খোঁজা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এবং নতুন স্থান নির্বাচন করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ শিগগিরই বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, ‘ঢাকার আশপাশে এখন জমি খোঁজা হচ্ছে। আগে থেকেই বলা হয়েছিল তা খুঁজতে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি বৈঠকে বসতে চাইছি। এর আগে যেসব স্থানে জমি দেখা হয়েছে সেগুলোর একটিতেও বিমানবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব হবে না।’
জানা গেছে, জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েই লিমিটেড ২০১৫ সালের জুলাই থেকে জাজিরা ও শিবচরে প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে। আগামী জুনের মধ্যে ১৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সব কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগেই সম্প্রতি জাপানি এই প্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন জমা দেয়। এ পর্যন্ত প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।
এদিকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিপ্পন কোয়েইকে নতুন জায়গা বের করতে বলেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পদ্মা নদীর পারে করার চেষ্টা করে আসছে। ২০১০ সাল থেকে জমি খোঁজা শুরু হয়। আট বছরেও জমি নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে যায়নি। এর আগে ঢাকা থেকে ৯৮ কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জমি নির্বাচন করা হয়েছিল। এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জ ও দোহারে অবস্থিত আড়িয়াল বিলে এবং শরীয়তপুরের জাজিরায় জমি খোঁজা হয়েছিল। ১০৬ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরেও এ অবকাঠামোর জন্য উপযুক্ত জমি আছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। জার্মানির এভি অ্যালায়েন্স প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। অর্থায়ন, নকশা তৈরি, উন্নয়ন ও পরিচালনায় যুক্ত হতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি এ আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। প্রস্তাবিত বিমানবন্দরে থাকবে তিনটি রানওয়ে। প্রতিটির আয়তন হবে চার হাজার ৪২০ মিটার।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!