উন্নত দেশ তৈরিতে দুর্নীতি রোধের বিকল্প নেই, জিরো টলারেন্সে প্রধানমন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ৩:১৩ : অপরাহ্ণ 618 Views

উন্নত রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিটি শাখা পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কেউ দুর্নীতি করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ত্রাস-মাদক-জঙ্গিবাদের মতোই দুর্নীতির বিরুদ্ধেও নিজের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির দৃঢ়তার কথা জানান।

২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ‘ভিশন ২০২১’ এ বলেছিলেন, এই অনুন্নত দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করবে। দশ বছর আগে দেয়া সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে আরও ৩ বছর বাকি। কিন্তু এরইমধ্যে বাংলাদেশ গতবছরই উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে। গত টানা দশ বছরে সরকার হিসেবে শেখ হাসিনার মহাজোটের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দিন যত গড়িয়েছে, লক্ষ্য ততই বড় হয়েছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর হয়ে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রের তালিকায় পৌঁছে দিতে ‘ভিশন ২০৪১’এর নতুন লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরেছে জনগণের কাছে। যেখানে গ্রামগুলোকেও শহরে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনার রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ফলে ওই নির্বাচনেও ৮০ শতাংশ জনগণের রায়ে টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ ও একই সংখ্যকবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়েন দলটির প্রধান শেখ হাসিনা।

মেয়াদের বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের মাধ্যেমে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিবর্তন করার পাশাপাশি ওই শাখাগুলো দুর্নীতি বন্ধেও যথেষ্ট সক্রিয় ছিল সরকার। কিন্তু দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে দুর্নীতি রোধে ওই পরিমাণ সক্রিয়তা যথেষ্ট নয় তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। তাই আগামী সময়গুলোতে দেশের প্রতিটি খাতের দুর্নীতির মূলোৎপাটন করার জন্য নিজেসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দুর্নতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধনামন্ত্রী।

দুর্নীতি থেকে সরকারি পর্যায়গুলো মুক্ত করার জন্য গত দশ বছরে সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে প্রয়োজন অনুসারে বেতন-ভাতাসহ নানান সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেতন-ভাতা, সুযোগ সুবিধা এত বেশি বাড়িয়েছি যে, সেক্ষেত্রে আমি তো মনে করি, আমাদের এ দুর্নীতির কোনো প্রয়োজনই নেই। যা প্রয়োজন তার সব তো আমরা মেটাচ্ছি তাহলে দুর্নীতি কেন হবে? যে হারে আমরা বেতন বাড়িয়েছি। এ উদাহরণ মনে হয় পথিবীর কোনো দেশেই নাই। কাজেই এখানে মানুষের মন মানসিকতাটাকে পরিবর্তন করতে হবে।’

উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছি তা আমরা পূরণ করতে পারবো। তার জন্য প্রয়োজন সুশাসন, তার জন্য দরকার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা।’

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!