শিরোনাম: বৈরী আবহাওয়াঃ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনঃ আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ কর্মপরিকল্পনা লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা

১৫’শ কোটি টাকা জমা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:০৩ : অপরাহ্ণ 450 Views

এগিয়ে যাচ্ছে দেশের শিক্ষা খাত। সেই সাথে দেশের মানুষের আয়ও বাড়ছে। আর এই একটি অংশ দিয়ে দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আয়ের প্রবণতাও বেড়েছে। বর্তমানে সারা দেশে স্কুলের প্রায় ২০ লাখ ছেলেমেয়ের ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব হিসাবে তারা প্রায় ১ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা জমা রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছর (২০১৮-১৯) শেষে স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩০টি। এ সময় স্কুল ব্যাংকিং হিসাব সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৯৪টি। অর্থাৎ এক বছরে হিসাব সংখ্যার প্রবৃদ্ধি ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই সময়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের জমানো আমানত বেড়েছে ৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও এখন ব্যাংকমুখী হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা তৈরি করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে পুরো ব্যাংক খাতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী স্কুল শিক্ষার্থীদের হিসাব সংখ্যা ও টাকা জমার স্থিতির দিক থেকে বেসরকারি ব্যাংকের অবদান সবচেয়ে বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলো মোট ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৫টি ব্যাংক-হিসাব খুলেছে, যা মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের ৬৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
বেসরকারি ব্যাংকগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে, যা স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের মোট স্থিতির ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুললেও মোট স্থিতির মাত্র ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, স্কুল ব্যাংকিংয়ের মোট হিসাবের ৩৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ খোলা হয়েছে গ্রামাঞ্চলে। ৬১ দশমিক ৩৭ শতাংশ খোলা হয়েছে শহরাঞ্চলে। গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চলে স্থিতির পরিমাণ মোট স্থিতির যথাক্রমে ২৫ দশমিক ৭৩ এবং ৭৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।
শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি হিসাব খুলেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে। এই ব্যাংকে ৩ লাখ ৬৯ লাখ ৬২৩ জন শিক্ষার্থী হিসাব খুলেছে, যা মোট হিসাবের ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। অপরদিকে স্কুল শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি টাকা জমা রেখেছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে। এখানে তারা আমানত রেখেছে ৪৬৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা মোট আমানতের ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্কুল ব্যাংকিংয়ের মোট হিসাবে ছাত্র ও ছাত্রীর অনুপাত ৫৭:৪৩। ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কুল ব্যাংকিং সেবাকে জনপ্রিয় করতে কোনো কোনো ব্যাংক আলাদা কাউন্টার বা ডেস্ক খুলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ২০১০ সালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয় উদ্বুদ্ধ করতে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেন। তবে শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সাল থেকে। ২০১১ সালে ১০ টাকা দিয়ে হিসাব খোলা হলেও পরে হিসাব খুলতে ১০০ টাকা জমা রাখতে বলা হয়। এসব হিসাব সাধারণ চলতি হিসাবে রূপান্তরের সুযোগও আছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!