লামা মুখ সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ে ভবনে সংকট থাকলেও থেমে নেই শিক্ষা কার্যক্রম


প্রকাশের সময় :২৩ মার্চ, ২০১৭ ৭:২২ : অপরাহ্ণ 1661 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবান লামায় রূপসী পাড়া সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলাম।চোখে পড়লো লামা মুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাজসজ্জা।গাড়ি থেকে নেমে বিদ্যালয়ে দিকে এগিয়ে গেলাম।কিছু তা যেতে না যেতে বিদ্যালয়ে মূল ফটকে দেখা পেলাম বড় আম গাছে ঝুলিয়ে রাখা কিছু বইয়ের। অনেক ক্ষুদে শিক্ষার্থী চেয়ারে বসে লাল ঝুড়িতে রাখা গল্পে বইগুলো পড়ছিলো।এরপর তাদের কাছে গিয়ে বসলাম,কথা বললাম আর তাদের থেকেই জানতে পারলাম,আম গাছে ঝুলিয়ে রাখা বই গুলো না কি তাদের বিদ্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী।
এরপর বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রথমে চোখ জুরিয়ে গেল প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণী কক্ষ দেখেই।কি না সুন্দর ভাবে শ্রেণী কক্ষটি সেঁজেছে।শ্রেণী কক্ষে দেওয়ালে ডিজিটাল চার্টে লাগানো রয়েছে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ আর পিলারে ঝুলিয়ে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রঙে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতে করানো কারু-কলা কাজ ফুল,মাছ,পাখি ও প্রজাপতি।প্রাক্-প্রাথমিক রুম থেকে বেরিয়ে পাশে শ্রেণী কক্ষে গেলাম।সেখানে গিয়ে দেখলাম ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ালেখা করছে।প্রত্যেক গ্রুপে একজন করে দল নেতা রয়েছে।দল নেতা কেন রাখা হয়েছে তা শিক্ষক হতে জানতে চাইলে শিক্ষক তখন উত্তরে বললেন,প্রত্যেক গ্রুপে কিছু দুর্বল শিক্ষার্থী রয়েছে।সে সব শিক্ষার্থীকে সাবলম্বী গড়ে তুলতে দলনেতা রাখা হয়েছে।এছাড়া শিক্ষার্থীদের গ্রুপ করে বাসানো ফলে তাদের অনেক সমস্যা শিক্ষক ছাড়া নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে পারে।
যার ফলে শিক্ষার্থীদের বৃদ্ধি পায় সৃজনশীলতা।এরপর পাশে কক্ষে গিয়ে দেখি ঠাকে সাজানো রয়েছে হরেক রকমের বই।শ্রেণী কক্ষে টেবিলে একটি খাতা ও খাতার উপর একটি কলম রাখা হয়েছে। খাতাটি এই কারণে রাখা হয়েছে,কোন শিক্ষার্থী যদি সে সাজানো ঠাক থেকে কোন একটি বই পড়তে চাই তাহলে তাকে প্রথমে রেজিষ্টার খাতায় নিজের নাম আর রোল নাম্বারটি লিখে হবে,তারপরে নিজের পছন্দের বইটি পড়তে পারবে।সেখান হতে বেরিয়ে অবশেষে চলে আসলাম অফিস কক্ষে।ভিতরে ডুকতে দেখলাম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কম্পিউটারে মনিটরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।মনিটরের দিকে কেন তাকিয়ে রয়েছে তা প্রধান শিক্ষককের কাছে গিয়ে বসার পর জানতে পারলাম।আসলে প্রধান শিক্ষক তখন অফিস কক্ষে বসেই সিসি ক্যামরার মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকদের পাঠ পরিদর্শন করছিলেন।সবশেষে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার সাথে কথা বলার পর এমন কিছু তথ্য বেরিয়ে আসেই,বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২৭২জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তিনি’সহ ৮জন শিক্ষক পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভবন ও আসবাবপত্রের। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীকক্ষসহ বিদ্যালয়ে রয়েছে ৪টি কক্ষ।যার জন্য শিক্ষার্থীদের ঘা ঘেষে বসতে হচ্ছে শ্রেণী কক্ষে।
বর্তমানে যে টিন সেট ভবনটি রয়েছে সেটি স্থাপিত হয়ে ছিলো ১৯৮৩ সালে।ভবন ও আসবাবপত্রের জন্য একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে।কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায়নি।তিনি এ সময় আরো বলেন,বিদ্যালয়ের পাশে প্রধান সড়ক হওয়ায় বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীরও খুবই প্রয়োজন।ছুটি ঘন্টা বেজে উঠলে শিক্ষার্থী’রা শ্রেণী কক্ষ হতে দৌড়ে গিয়ে বের হয়ে পড়ে।কখন কোন মুহূর্তে দূর্ঘটনা ঘটে তা বলা যায় না।সব সময় দূর্ঘটনা ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!