খালেদা দুর্নীতির মামলায় কারা ভোগ করছেনঃ-(প্রধানমন্ত্রী)


প্রকাশের সময় :৬ মে, ২০১৮ ৮:৩৬ : অপরাহ্ণ 565 Views

বান্দরবান অফিসঃ–ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকার এর করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা সহ আরো বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছেন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক ডাকা সংবাদ সম্মেলনে খালেদার রায়ের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। খালেদার রায়ের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ পান ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

সাংবাদিকরা খালেদার মামলার রায়ের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতিমের টাকা মেরে খেলে শাস্তি, এটা আদালতও দেয়, আল্লাহর তরফ হতেও দেয়। আমাদের তো কিছু করার নাই’।

তিনি আরো বলেন, ‘রায়টা তো আমি দিইনি, রায়টা দিয়েছে কোর্ট। মামলাটা করেছে কে? ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকার। ফখরুদ্দীনকে তারাই(বিএনপি) গভর্নর করেছিল। নয়জনকে ডিঙ্গিয়ে মইন উ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছিল। আর ইয়াজউদ্দীন তো তাদের ছিলই। মামলাটা তারা(ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকার) দিয়েছে’।
দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলার ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, এই মামলাটা ১০ বছর চলেছে। এই মামলায় তিন বার জজ পরিবর্তন হয়েছে, সময় চেয়েছে ১০৯ বার। বহু টালবাহানা আপনারা দেখেছেন। ২৬১ দিনের মতো তারিখ পড়ল। আপিল বিভাগে ২২ বার রিট করা হয়েছিল। এত কিছুর পর তিনি মাত্র ৪৩ দিন কোর্টে হাজির হয়েছিলেন।

খালেদা জিয়ার নামে মামলার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘আর তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে যে মামলা, আমাদের সরকার তো তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি। বরং আমার বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজনের মতো মামলা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। শুধু আমি নই; আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি তখন ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের হাই কমিশনার হিসেবে ছিলেন, আমরা সবাই কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলার আসামি’।
খালেদার রায় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির গঠনতন্ত্রের দুর্বলতার দিকেও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির একটি গঠনতন্ত্র আছে, ওটার কোনো খোঁজও পাওয়া যায় না।বিএনপিতে সব ক্ষমতা চেয়ারম্যানের হাতে,আমাদের গঠনতন্ত্রে তা নেই।দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে কেউ তাদের দলে থাকতে পারবে না,তারা সেটা সংশোধন করে নিল।

এটা ঠিক চেয়ারম্যান না থাকলে এক নম্বর ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান হবেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তিনিও আবার ফেরারী আসামি। আমার প্রশ্ন বিএনপিতে কি এমন কোনো নেই, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা যেত। একটা লোক কি খুঁজে পাওয়া গেল না, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা যেত’।আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে যখন জেলে নিয়ে গেল আমি জিল্লুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করলাম। আমি আমার বোনকেও করিনি,ছেলেকেও করিনি।”

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!