শিরোনাম: বৈরী আবহাওয়াঃ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনঃ আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ কর্মপরিকল্পনা লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা

সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি,তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস 


প্রকাশের সময় :১০ নভেম্বর, ২০১৭ ২:১৬ : পূর্বাহ্ণ 997 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-সংসদীয় আসন (৩০০) বান্দরবান পার্বত্য জেলার ভোটের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা লামা উপজেলা ও লামা পৌর শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।লামা উপজেলার শীর্ষ ও জনপ্রিয় ছাত্রসংগঠন লামা উপজেলা ছাত্রলীগ ও শহর শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে স্বয়ং কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যা উপজেলার সার্বিক রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে।এবিষয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মংসাইনু মার্মা জানিয়েছেন,সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।সেসব উপকমিটি সম্মেলন সফলভাবে শেষ করতে একযোগে কাজ করছে।আশাকরি বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে এবারের উপজেলা সম্মেলনটি ঐতিহাসিক ভাবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিবে।এবিষয়ে তিনি সিএইচটি টাইমস ডটকমকে আরও বলেন,সম্মেলনের অতিথিদেরকে লামার প্রবেশ মুখ হাঁসের দিঘী এলাকায় প্রথমে ফাসিঁয়াখালী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বরন করে নিবে।পরে লামার পর্যটন স্পট হিসেবে সুপরিচিত মিরিঞ্জা থেকে লামা উপজেলা ও শহর শাখার নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ,সম্মেলনের প্রধান অতিথি বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ক্য শৈ হ্লা,সম্মেলনের উদ্বোধক কাওসার সোহাগ সহ বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ এর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ কে বরণ করে নিয়ে তিন শতাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে লামার মূল শহরে প্রবেশ করবেন।এবিষয়ে প্রভাবশালী এই ছাত্রলীগ নেতা ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মংসাইনু মার্মা লামা উপজেলা,শহর এবং মাতামুহুরি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী,স্থানীয় আওয়ামীলীগ,উপজেলা পুলিশ প্রশাসন সহ গনমাধ্যম কর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।সিএইচটি টাইমস ডটকম এর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা পুরনোরা বিদায় নিবো-নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করার জন্য।ছাত্রলীগের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে পুরনোরা বিদায় নিবে এবং নতুনরা নেতৃত্বে আসবে।সবারই চাওয়ার পাওয়ার একটা নির্দিষ্ট গন্তব্য আছে।এতো বছর ধরে সংগঠন করে আমাদেরও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিলো।কিন্তু দলীয় আদর্শ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলতে হলে কাওকে না কাওকেতো ছাড় দিতে হবে।সেক্ষেত্রে আজকে আমরা ছাড় দিচ্ছি মূলত সংগঠনের স্বার্থে,গণতন্ত্রের স্বার্থে,সর্বপুরি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং জননেতা বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র স্বার্থে।ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি আজকে আমরা যারা ছাড় দিচ্ছি আমাদের কথা প্রিয় অভিবাবক বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র মনে থাকবে এবং যথাসময়ে তিনি আমাদের প্রাপ্য উপযুক্ত সম্মান অবশ্যই প্রদান করবেন।সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।ডিজিটাল বান্দরবানের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি কে পুনরায় নির্বাচিত করাই আমাদের বিশেষ করে আমরা যারা ছাত্রলীগ করি আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।সেই লক্ষ্য পুরনে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।উন্নয়ন এর যে মহাসড়কে বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বান্দরবান পার্বত্য জেলা কে যুক্ত করেছেন,সেই উন্নয়নের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখতে বান্দরবানের প্রতিটি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।এসময় তিনি সংসদীয় আসন (৩০০) বান্দরবান পার্বত্য জেলার পাঁচবারের সংসদ সদস্য শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়ন এর মহানায়ক বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’কে ষষ্ঠ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে বান্দরবানের আসনটি উপহার দিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সুত্রে জানা যায়,প্রাথমিকভাবে লামা শহরে প্রবেশের পর সম্মেলনে আগত নেতারা লামার বি.আর.ডি.বি রেস্ট হাউজে বিশ্রাম নিবেন।এরমধ্যেই শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল দশটায় লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাওসার সোহাগ প্রথম অধিবেশনের অংশ হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন এবং একই স্থানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।আলোচনা সভা শেষে মধ্যাহ্নভোজ এর বিরতি রয়েছে।এর পরপরই সম্মেলনের মূল আকর্ষণ দ্বিতীয় অধিবেশন অর্থাৎ দুটি শাখার নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোটাভুটি শুরু হবে লামা টাউন হল প্রাঙ্গণে।দুই শাখার কাউন্সিলররা টাউন হলে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন,অন্য দিকে সম্মেলনে আগত অতিথিবৃন্দ ও ডেলিগেট সদস্যরা লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। সম্মেলনে লামা উপজেলা ছাত্রলীগের ১৩৭ কাউন্সিলর (৪ জন কাউন্সিলর দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রম এর কারণে বহিস্কৃত) এবং শহর ছাত্রলীগের ১৮১ কাউন্সিলর এর সরাসরি ভোটে গুরুত্বপূর্ণ এই দুইটি শাখা ছাত্রলীগের নতুন নেতা নির্বাচিত হবে।সম্মেলন উপলক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন।লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বাথোয়াইচিং মার্মা কে প্রধান করে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিজয় আইচ,লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মিন্টু কুমার সেন এবং লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর দপ্তর সম্পাদক অযহা ত্রিপুরা।এছাড়াও বান্দরবান থেকে আগত বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এর দায়িত্ব পালন করবেন।সম্মেলন উপলক্ষ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রধান এবং লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বাথোয়াই চিং মার্মা জানান,লামা উপজেলা ও শহর শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুটি পদে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।এরমধ্যে লামা উপজেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি পদে ৪ জন প্রার্থী (মোঃশাহিন/মোঃশাহাবুদ্দীন/মং ক্যাওলা মার্মা ও সাদ্দাম হোসেন রাকিব),সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী (মোঃজাহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান রনি),লামা শহর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থী (বিপ্লব নাথ/শামীম মিয়া/মোঃইলিয়াস পারভেজ) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন প্রার্থী (সালাউদ্দিন সোহেল/রহিম উদ্দিন রাজু ও সুমন মাহমুদ) সর্বমোট দুটি শাখায় চারটি পদের বিপরীতে ১২ জন ছাত্রনেতা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।এদিকে বিভিন্ন সুত্রে কাউন্সিল এর ভোটাভুটিতে ৪টি পদেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস পাওয়া গেছে।যদিও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পদে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা ছাত্রলীগ নেতা মং ক্য হ্লা চৌধুরী এবং মোঃশাহিন।কাউন্সিল ঘিরে সমগ্র জেলার ছাত্ররাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে।ছাত্রলীগের পাশাপাশি ছাত্রদল,ছাত্রশিবির, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এর সকল ছাত্র নেতাদের দৃষ্টি এখন লামা উপজেলা ও শহর শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের দিকে।তুমুল জল্পনা কল্পনা সৃষ্টি হয়েছে এই সম্মেলন ঘিরে।অন্য দিকে লামা উপজেলা ও শহর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নিজেদের করনীয় নির্ধারণে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন,আলোচনা করছেন পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে,চুুুুলচেরা বিশ্লেষন করছেন কারা নেতৃত্বে আসলে সংগঠন শক্তিশালী হবে,কোন কোন নেতা কর্মীবান্ধব তা নিয়েও হিসেব নিকেশের শেষ নাই।তবে যে যতই আলোচনা করুক না কেনও কাউন্সিলররা অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নাই।পাশাপাশি সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা পেয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ভীষন উচ্ছ্বাসিত।সম্মেলন উপলক্ষ্যে পুলিশী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো লামা শহর।বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতির আগমন কে কেন্দ্র করে যাতে কোনও প্রকার বিশৃংখলা সৃষ্টি না হয় সেই বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!