শিরোনাম: বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনঃ আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ কর্মপরিকল্পনা লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক

বান্দরবানে চালু হলো শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবা কেন্দ্রঃ সেবার মান বাড়াতে তৎপর সিভিল সার্জন


ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশের সময় :১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:৫৫ : পূর্বাহ্ণ 288 Views

সারা দেশের ন্যায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবা কেন্দ্র (স্ক্যানু) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ভাবে এই বিশেষায়িত নবজাতক সেবা কেন্দ্র এর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর মন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন,এমপি।ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর মিলন হল থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী একযোগে ৫০ টি জেলায় এই সেবা কার্যক্রম এর উদ্বোধন করেন।উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বান্দরবান প্রান্ত থেকে এসময় সংযুক্ত ছিলেন বান্দরবান এর সিভিল সার্জন ডা.নীহার রঞ্জন নন্দী।

এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডা.নীহার রঞ্জন নন্দী জানান,বান্দরবান সদর হাসপাতালে বিশেষায়িত নবজাতক সেবা কেন্দ্র (স্ক্যানু) এর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রাথমিকভাবে তিনটি বেড নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।তবে আরও তিনটি বেড এর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ৬ জন শিশু একই সময়ে স্ক্যানু সেবা নিতে পারবে।বর্তমানে এক জন নবজাতক শিশু ভর্তি আছেন।

এদিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে সেবার মান নিয়ে নিজের নানা তৎপরতার কথা তুলে ধরে সিভিল সার্জন বলেন,আমরা এখন চেষ্টা করছি জটিল অস্ত্রোপচার গুলো যাতে বান্দরবান সাধারণ মানুষ বান্দরবানেই করাতে পারে।উদাহরণ হিসেবে তিনি বান্দরবান সদর হাসপাতালে গত কিছুদিন এর বেশকিছু বড় বড় জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করার বিষয়টি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন,এ ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার ইতিপূর্বে বান্দরবান সদর হাসপাতালে হয়নি।এরই ধারাবাহিকতায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে জরায়ু,টিউমার অপসারনসহ নারীদের অন্য যেসব জটিল সমস্যার চিকিৎসা নিতে চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন হাসপাতালে যেতে হতো সেই চিকিৎসাটা আমরা বান্দরবানে নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।

তিনি আরও যুক্ত করেন,চেষ্টা করছি গাইনি বিভাগকে সক্রিয় রাখতে যাতে বান্দরবান জেলার সাধারণ মানুষ বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে অর্থনৈতিকভাবেও যাতে কিছুটা উপকৃত হতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন একজন রোগী যখন একটি টিউমার অস্ত্রোপচার করার জন্য চট্টগ্রাম এর কোনও হাসপাতালে যাচ্ছে তখন তাঁর লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়।অন্যদিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে যদি সেই একই চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায় তাহলে আর্থিকভাবে সেই রোগী এবং তাঁর পরিবার কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।

ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীদের যে খাবার দেয়া হয় তা নিয়ে অভিযোগ বহু পুরনো।কিন্তু একজন রোগীর তিন বেলা খাবারের জন্য মাত্র ১২৫ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।অনেক বছর আগে আমি যখন কাউখালী তে কর্মরত ছিলাম সেসময় ৭৫ টাকা থেকে একজন রোগীর জন্য ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৫ টাকা বরাদ্দ হয়।এই সীমাবদ্ধতা নিয়েই আমাকে রোগীর খাবার দিতে হচ্ছে।যেকারনে অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও আমি করতে পারছিনা।তবে বিষয়টি ইতিমধ্যে আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবা কেন্দ্র (স্ক্যানু) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক ডা.মংটিংঞো মারমা,বান্দরবান সদর হাসপাতাল এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.এস এম ইকবাল হোসাইন,ডা.ফারজানা জেরিন উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সদর হাসপাতাল এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত,বাংলাদেশে প্রতি বছর অনুমানিক ৯০ হাজার নবজাতক শিশু মৃত্যুবরণ করে এবং দুই তৃতীয়াংশের বেশি শিশু জন্মের সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করে।
এর মধ্যে অর্ধেক শিশু সংক্রমণ,জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা,কম জন্ম ওজন এবং অপরিণত জন্মের কারণে জন্ম নেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করে। অথচ মানসম্মত নবজাতকের বিশেষায়িত সেবায় এই অপ্রত্যাশিত মৃত্যুগুলোর বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা সম্ভব।এক্ষেত্রে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র (স্ক্যানু) শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য,সেভ দ্য চিলড্রেন ও এর সহযোগী সংস্থাসমূহের যৌথ সমন্বয়ে মামনি এমএনসিএসপি বাংলাদেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে।ইউএসএআইডি’র সহায়তায় ৪৯.৫ মিলিয়ন ডলার বাজেটের পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!