শিরোনাম: লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার

এক নজরে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন


প্রকাশের সময় :৫ নভেম্বর, ২০১৭ ১:৩৭ : পূর্বাহ্ণ 2174 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বীর বাহাদুর উশৈসিং,এম পি ১৯৬০ সালের ১০ জানুয়ারী বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদরের একটি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতার নাম প্রয়াত লালমোহন বাহাদুর এবং মাতা মা চ য়ই,তিনি একজন গৃহিনী।বীর বাহাদুর উশৈসিং ১৯৬৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন।১৯৭৬ সালে বান্দরবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য তিনি প্রথমে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে এবং পরে বান্দরবান সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।ছাত্র জীবনেই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন।ছাত্র জীবনে তিনি বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন।পরে তিনি ১৯৯২ সালে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তিনি জেলা স্কাউটের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।বীর বাহাদুর উশৈসিং ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংসদীয় দলের হুইপ নির্বাচিত হন।আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সময়ে তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগে সংগঠনকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করেন।তিনি বান্দরবান প্রেস ক্লাব ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের আজীবন সদস্য।তিনি ১৯৭৯ সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পূর্বে এ সংক্রান্ত সংলাপ কমিটির অন্যতম সদস্য এবং তৎকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৯৮ সালে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রথম বারের মত এবং ২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় দ্বিতীয় বারের মত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড,রাঙ্গামাটি-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।এর ফলে তিনি সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা,স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগ,কৃষি তথা ভৌত অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনায় সুযোগ পান।এছাড়া বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি নবম জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।তিনি ঐ সংসদের একজন প্যানেল স্পীকার ছিলেন যার ফলে ২০১৩ সালের ২২ জুলাই তিনি খন্ডকালীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।তিনি ছাত্র জীবন থেকেই খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চায় গভীর মনোযোগী ছিলেন।তার স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফুটবল রেফারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।দীর্ঘদিন ধরে তিনি দক্ষতার সাথে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন।তিনি ১৯৯৭ সালে ফিফা বিশ্বকপ ফুটবল কোয়ালিফাই রাউন্ডে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মালয়েশিয়া গমন করেন এবং বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তাছাড়া অষ্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অলিম্পিক ২০০০-এ বাংলাদেশ দলের চীফ অব দ্য মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ফ্রান্স গমন করেন।এছাড়াও বাংলাদেশ বিমানের লন্ডন-নিউইয়র্ক ফ্লাইট উদ্বোধনের জন্য এবং জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আমেরিকা সফর করেন।২০০৬ সালে চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে চীন গমন করেন।এছাড়াও তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের জন্য জাপান,ইন্দোনেশিয়া,থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন,মায়ানমার ও কম্বোডিয়া সফর করেন।বৃক্ষ রোপণে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি জাতীয়ভাবে পুরস্কার প্রাপ্ত একজন ব্যক্তিত্ব।একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবেও তার খ্যাতি সমধিক।তিনি ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হন এবং বর্তমানে এ পদে আসীন আছেন।বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং নিরলস পরিশ্রমের বিনিময়ে তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে তিনি বান্দরবানের প্রবেশ মুখ খ্যাত সুয়ালক ইউনিয়নে একশো একর জায়গার উপর বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছেন।শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে গড়ে তুলেছেন শিক্ষা ও উন্নয়ন ফাউন্ডেশন।ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েই তিনি বসে থাকেননি।ইতিমধ্যে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী বান্দরবান জেলা শহরের একটি ৫ তলা ভবন ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এর অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলে শিক্ষা কার্যক্রম এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন এর জন্য এবং স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।এছাড়াও বান্দরবানের অসংখ্য স্কুল কলেজ মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নে বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির ভুমিকা পার্বত্য অঞ্চলজুড়ে এক অনবদ্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এরপর ১৯৯৬ সালে সপ্তম,২০০১ সালে অষ্টম,২০০৮ সালে নবম এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালে ০৫ জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান সংসদীয় আসন (৩০০ নং আসন) থেকে টানা পঞ্চম বারের মত জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভার একজন সদস্য হিসেবে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং এখন পর্যন্ত উক্ত মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারনের সঙ্গে বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র রয়েছে মধুর সম্পর্ক,যেকারনে বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েও বেশিরভাগ সময় তিনি বান্দরবানে চলে আসেন।ব্যাক্তি জীবনে বীর বাহাদুর উশৈসিং ১৯৯১ সালে মে হ্লা প্রু’র সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন।তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক।তার বড় ছেলে উসিং হাই (রবিন) বার-এট-ল এ অধ্যায়নরত ও ছোট ছেলে থোয়াইং শৈ ওয়াং (রোমিও) এ লেভেল শেষ করে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষা নিতে অষ্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন এবং একমাত্র কন্যা ম্যা ম্যা খিং (ভ্যানাস) ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যয়নরত।বাবার দেখানো পথ অনুসরন করে বড় ছেলে উসিং হাই রবিন বাহাদুর যুক্ত হয়েছেন বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে।শুরুতে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হলেও বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ এর অন্যতম সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!