শিরোনাম: জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার যৌথ বাহিনীর অভিযানঃ তিন উপজেলায় স্থগিত হলো ভোট

আলীকদম সেনা জোনের মানবিক চিকিৎসা সেবা পেলো দুর্গম ম্রো পাড়াবাসী


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৬ এপ্রিল, ২০২২ ২:৪৬ : পূর্বাহ্ণ 230 Views

লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম মিনতুই পাড়া ও পমপং পাড়া নামে দুইটি ম্রো পাড়ায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।ইতিমধ্যে ডায়রিয়া রোগে ১ জনের মৃত্যু ও শতাধিক আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লংক্রাত ম্রো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার স্থানীয়দের মাধ্যমে রূপসীপাড়া আর্মি ক্যাম্প বিষয়টি অবহিত হয়ে আলীকদম সেনা জোনকে জানায়। পরে আলীকদম সেনা জোনের একটি মেডিকেল টিম সোমবার দুপুরে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড় কলারঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প করে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।

মেডিকেল ক্যাম্পে মিনতুই ও পমপং ম্রো পাড়া সহ আশপাশের মোট ১২৫ জন রুগিকে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বিনামুল্যে ঔষধ বিতরন করা হয়। আলীকদম জোনের ক্যাপ্টেন নুরুজ্জামান তুর্যের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম এই স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে। এসময় দুইটি ম্রো পাড়ার ৩৩ জন শিশু, ৪৬ জন নারী, ৩৬ জন পুরুষকে চিকিৎসা দেয়া হয়। যাদের ৬০ শতাংশ ডায়রিয়ার রোগী। পাশাপাশি ১০ জন বাঙ্গালী নারী পুরুষ মেডিকেল ক্যাম্প থেকে চিকিৎসা নেয়।

এদিকে অবস্থার অবনতি দুইটি ম্রো পাড়ার ৩৩ জনকে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যার মধ্যে ২০ জনই ডায়রিয়ার রোগী বলে জানান লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাইনুদ্দিন মাজেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীদের নিবিড় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রোবিন বলেন, হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে ভিড় জমাচ্ছেন। গত ১ সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগের ঔষধের কোন সংকট নেই। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৫০টি হলেও অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় মেঝেতেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!