বান্দরবানে তারেক রহমানের ১১তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা


প্রকাশের সময় :৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১০:১৫ : অপরাহ্ণ 571 Views

বান্দরবান অফিসঃ-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বান্দরবান জেলা। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪:৩০ মিনিটে বান্দরবান চৌধুরী মার্কেট সংলগ্ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি সদস্য, বোমাং রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী।জেলা বিএনপি সাংগঠনিক আব্দুল মাবুদ এর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রশীদ,জেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য লুসাই মং মার্মা,সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যা হ্লা উ চৌধুরী,পৌর বিএনপির সভাপতি নাছির চৌধুরী,পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ফেরদৌস হায়দার রুশো,জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া,পৌর ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দিন আলো,জেলা ছাত্রদল যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করীম সোহেল,মিড়িয়া দল সদস্য সচিব ওমর ফারুক জিহাদ,জেলা যুবদল সদস্য মোঃহেলাল উদ্দিন।এছাড়াও জেলা ছাত্রদল,যুবদল,সেচ্ছাসেবক দল,মহিলা দল,তৃণমূল বিএনপি সহ অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করপ্রধান অতিথির বক্তব্যে সাচিং প্রু জেরী বলেন, সেনাসমর্থিত সরকারের নির্দেশে যৌথবাহিনী ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ভোর রাতে তারেক রহমানকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। দিনের পর দিন রিমান্ডে নির্যাতন ও টানা ৫৫৪ দিন কারাবাসের পর সরকারের সাজানো সব কয়টি মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২০০৮ সালের এই দিনে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মুক্তি পান।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিষ্ঠুর নির্যাতনে জননেতা তারেক রহমান মুক্তির পরও হাসপাতালের বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। এই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এ তরুণ নেতার জীবন এখনও বিপন্ন। গ্রেফতারের ১১ বছর পরও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি সরকার। মুদ্রা পাচারের মিথ্যা অভিযোগে দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় নিম্ন আদালত থেকে খালাস পেলেও হাইকোর্ট তাকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেয়। গত ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সাজানো মিথ্যা মামলায় আবারও তারেক রহমানকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতকে ব্যবহার করে সাজা দিচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন নিম্ন আদালত থেকে তারেক রহমান খালাস পেলেও সরকারের ইচ্ছায় তাকে রাজনীতি থেকে সরাতে এই সাজা দেয়া হয়েছে।সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল মাবুদ বলেন,বর্তমান সরকারও ১/১১’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে কীভাবে তারেক রহমানকে ফাঁসানো যায়, তাকে কীভাবে রাজনীতিতে আসতে না দেয়া যায় সে কৌশল নিয়েই মরিয়া। মামলা ও ঘৃণ্য অপপ্রচার এখনও চলছে সমানতালে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির ঐতিহাসিক বিজয়ের নেপথ্য রূপকার ছিলেন তারেক রহমান। গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে তৃণমূল সমাবেশ করে তিনি যেভাবে দেশের মানুষকে সংগঠিত করেছিলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সেটা উপলব্ধি করেছে। তারা উপলব্ধি করেছে তারেক রহমানকে থামাতে না পারলে আগামী দিনের রাজনীতি তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তারেক রহমানের মাঝে শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক চরিত্রের প্রতিচ্ছবি দেখে আওয়ামী লীগ দিশেহারা। লন্ডনে চিকিৎসাধীন তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য যাতে বাংলাদেশের কোনো মিডিয়ায় প্রকাশ না করা হয় আদালতের মাধ্যমে তার বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের পরও বাংলাদেশের মানুষ আশাবাদী।সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন হয়তো আসবে,মানুষের ভালোবাসার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার আবারও তারেক রহমানকে এ মাটিতে অভিবাদন জানাবে। মানুষ চাচ্ছে, সুস্থ হয়ে তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। সেদিনের প্রতীক্ষায় যেন বাংলাদেশ। এসময় আলোচনা সভা থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দাবী করা হয়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!