শিরোনাম: জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার যৌথ বাহিনীর অভিযানঃ তিন উপজেলায় স্থগিত হলো ভোট

গোয়েন্দা প্রতিবেদনঃ-(বার্মা স্টাইলে পাহাড়কে বাঙালিশূন্য করতে দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা)


প্রকাশের সময় :৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ৪:১৬ : পূর্বাহ্ণ 652 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান,খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে সশস্ত্র উপজাতি সংগঠনগুলো।সম্প্রতি পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে কাজ করা একটি শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।প্রতিবেদনে পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের ওপর যেকোনো ধরনের অপরাধ হলেই তার দায়ভার বাঙালিদের ওপর চাপিয়ে একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে উঠে-পড়ে লাগে।তাদের মূল লক্ষ্য- পার্বত্য চট্টগ্রামে সামপ্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে উপজাতি-বাঙালি সমপ্রীতি ধ্বংস করা।একইসঙ্গে বাঙালিদের দায়ী করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি বিতাড়ন আন্দোলন গড়ে তোলা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,জাতিগত বিভেদ ভুলে সাধারণ বাঙালি এবং উপজাতিদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকলেও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের নানান নোংরা রাজনীতির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে।পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদেরকে উৎখাত করতে বিভিন্ন ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে তারা।এমনকি নিজেরাই কোনো একটি অপরাধ সংঘটিত করে সেটাতে নানান রং চড়িয়ে বাঙালিদেরকে সরাসরি দোষারোপ করছে।পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি তারা ঢাকা,চট্টগ্রামসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে মিছিল,মিটিং,সমাবেশ করে মিডিয়া এবং জনগণের নজর কাড়ার চেষ্টা করে আসছে।পাশাপাশি তারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষত ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ,পেইজ বা আইডি ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদেরকে উৎখাত করার লক্ষ্যে নানান মিথ্যাচার,গুজব এবং বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়ে আসছে।
প্রতিবেদনে কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়েছে,চলতি বছরের ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলা সদরে আপন ভগ্নিপতির ভাড়া বাসায় বোন ও ভগ্নিপতির অনুপস্থিতিতে গলা কেটে হত্যা করা হয় খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইতি চাকমাকে।কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এ হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি বাঙালিদের দায়ী করে নানা রং চড়ানোর অপচেষ্টা চালায়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে নানা অপপ্রচার চালায়।এমনকি বাংলাদেশ ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের ফেসবুকের চাকমা পেইজগুলোতেও আলোচনায় স্থান পায় ইতি চাকমা। তারা সকলেই এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি বাঙালিদের দায়ী করে পোস্ট প্রকাশ করে।ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় তুষার চাকমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সে জানায়,৫ জন চাকমা যুবক ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইতি চাকমার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো তারা একই কৌশল অবলম্বন করে বাঙালিদেরকে সরাসরি দোষারোপ করে বালাতি ত্রিপুরা নামের এক উপজাতি মহিলা খুন হওয়ার পর।১২ই সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে খুন হয় বালাতি ত্রিপুরা।এবারও আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে বিভিন্ন উপজাতি সংগঠনগুলো।এবার তারা সমস্ত পার্বত্য বাঙালিকে দোষারোপ না করে সুনির্দিষ্টভাবে করিম,নুরু আর মানিক নামে তিন বাঙালিকে দোষারোপ করে।ঘটনার মাত্র ছয়দিনের মাথায় বালাতি ত্রিপুরার খুনের মূল নায়ক কার্বারী সাধন ত্রিপুরা নামক এক উপজাতি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,উপজাতিরা শুধু বাঙালিদেরকে দোষারোপ করেই ক্ষান্ত হয় না।সুযোগ পেলে তারা হত্যা করতেও কুণ্ঠিত হয় না।২০১৪ সালের ৬ই জুন বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ব্র্যাক এনজিওর আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা উপ্রু মারমাকে ধর্ষণ করে হত্যা করে।ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্থানীয় পাহাড়িরা বাঙালি কাঠুরিয়া মুসলিম উদ্দিনকে ধরে গণপিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়।পরবর্তীতে তদন্তে দেখা যায় যে,এ ঘটনায় জড়িত উপজাতি রশদ তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে বিজয় তঞ্চঙ্গ্যা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বাঙালিদেরকে একঘরে করে রাখতে উপজাতি সংগঠনগুলো তাদের নিজ জাতি গোষ্ঠীকে নির্যাতন করতেও পিছপা হয় না।তার জ্বলন্ত উদাহরণ রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার আয়না চাকমা নামক এক কিশোরী।২০১৬ সালের ২৯শে মে ‘মা মোবাইল সেন্টার’ নামে এক বাঙালি ছেলের দোকানে কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে যায় আয়না চাকমা।বাঙালির দোকানে গিয়েছে শুধুমাত্র এ অপরাধে এই চাকমা কিশোরীকে সেখান থেকে ধরে এনে প্রকাশ্যে মারধর করে পাহাড়ের একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।শুধু এখানেই শেষ নয়।পরে এ কিশোরীকে গহিন জঙ্গলে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে তারা এবং এ বর্বর মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে।প্রতিবেদনে এ ধরনের আরো কয়েকটি ঘটনার কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে,পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব বাঙালি এবং উপজাতি এদেশেরই গর্বিত নাগরিক।পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের সকলের অবদান অপরিসীম।তাই উপজাতি-বাঙালি ভেদাভেদ আর অতীতের হানাহানি ও বিবাদ ভুলে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অগ্রসর হতে হবে।তবেই পার্বত্য এলাকায় শান্তির পরিবেশ আরো সুসংহত হবে এবং সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে।এতে বলা হয়েছে,অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য অঞ্চলে মুষ্টিমেয় কিছু সন্ত্রাসী কর্তৃক সৃষ্ট অশান্তি সমূলে উৎপাটন করে সবাই মিলে শান্তি ও সমপ্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে পারলেই উন্নয়ন এবং উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত হতে বাধ্য।সূত্র:-(মানবজমিন)

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!