শিরোনাম: লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার

মহেশখালীর সমুদ্রেই আরেকটি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ আগস্ট, ২০২১ ৬:২২ : অপরাহ্ণ 200 Views

২০১৮ সাল থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। আমদানি করা এলএনজি থেকে প্রক্রিয়াজাত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দিতে মহেশখালীর সাগরে দুটি ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) রয়েছে। এরপরও গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। তাই সরকার মহেশখালীর সমুদ্রেই আরেকটি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যেই এ টার্মিনাল দিয়ে গ্রিডে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আনার আশা করা হচ্ছে। তৃতীয় এই এফএসআরইউ স্থাপনের বিষয়ে পেট্রোবাংলাকে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৪২০ কোটি ঘনফুট। পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ৩১৩ কোটি ঘনফুট। ঘাটতি ছিল ১০৭ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে আমদানি করা এলএনজি থেকে মিলেছে ৭০ কোটি ঘনফুট। অর্থাৎ দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে পাওয়া গেছে ২৪৩ কোটি ঘনফুট। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত না হলে দেশীয় গ্যাসের এই উৎপাদন সামনের বছরগুলোতে আরও কমবে। ২০১৭ সালের গ্যাস সেক্টরে মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে ২০২৫ সালে দেশে গ্যাসের চাহিদা দাঁড়াবে ৪৪০ কোটি ঘনফুট। একদিকে চাহিদা বাড়বে, অন্যদিকে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমতে পারে। এতে ঘাটতি বেড়ে যাবে। এই চাপ সামলাতেই তৃতীয় টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, মহেশখালীর সমুদ্রে বর্তমানে দুটি এফএসআরইউ রয়েছে। এ দুই টার্মিনাল থেকে দিনে ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব। আর মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ও ৪২ ইঞ্চির যে পাইপলাইন দুটি রয়েছে, তার যৌথ পরিবহন ক্ষমতা ১৫০ কোটি ঘনফুট। ফলে এ এলাকায় আরও একটি ভাসমান টার্মিনাল বসিয়ে দিনে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সহজেই জাতীয় গ্রিডে দেওয়া সম্ভব। এ জন্য বাড়তি পাইপলাইন বসাতে হবে না। আগে দুই টার্মিনাল স্থাপনের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, একটি এফএসআরইউ বসাতে ৩০ মাস লাগে।

অর্থাৎ এখন কার্যক্রম শুরু করলে ২০২৩ সালেই তৃতীয় টার্মিনাল থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেওয়া সম্ভব।

গত জুলাই মাসে জ্বালানি বিভাগে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে তৃতীয় টার্মিনাল স্থাপনের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রাকৃতিক গ্যাসকে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ১ বায়ুচাপে রেফ্রিজারেশন প্রক্রিয়ায় তরল করে এলএনজি পাওয়া যায়। এলএনজির প্রধান উপাদান মিথেন, তবে সামান্য পরিমাণ ইথেন প্রপেন, বিউটেন, পেন্টেনসহ অন্যান্য হাইড্রো কার্বন মিশ্রিত থাকে। প্রাকৃতিক গ্যাসকে এলএনজিতে রূপান্তর করলে এর আয়তন সংকুচিত হয়ে ৬০০ গুণ কমে যায়। ফলে এলএনজি পরিবহন করা সহজ হয়।

দেশের জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে ২০১০ সালেই এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই টার্মিনাল স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি সই করে পেট্রোবাংলা। নির্মাণ, পরিচালনা ও স্থাপন (বিওওটি) পদ্ধতি এক্সিলারেট ২০১৭ সালে এই টার্মিনাল স্থাপন করে। গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট। ১৫ বছর পর ২০৩২ সালে এফএসআরইউ পেট্রোবাংলার কাছে হস্তান্তর করবে এক্সিলারেট।

পাশেই দ্বিতীয় টার্মিনাল স্থাপন করে দেশীয় সামিট গ্রুপ। সামিটের সঙ্গে পেট্রোবাংলার চুক্তি হয় ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল। বিওওটি পদ্ধতিতে স্থাপিত এফএসআরইউ ১৫ বছর সামিট চালাবে। ২০৩৩ সালে এটি পেট্রোবাংলার কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া মাতারবাড়ীতে একটি ভূমিভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা এগিয়ে চলছে।

কাতার আর ওমান থেকে দীর্ঘ মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তি করেছে সরকার। কাতারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। বার্ষিক সরবরাহের পরিমাণ ১.৮ থেকে ২.৫ মিলিয়ন টন। কাতার থেকে এলএনজি নিয়ে প্রথম কার্গো আসে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল। বছরে গড়ে ৪০টি কার্গোতে এলএনজি আনা হয়। ওমানের সঙ্গেও ১০ বছর মেয়াদি চুক্তি সই হয় ২০১৮ সালের ৬ মে। ওমান থেকে প্রথম কার্গো আসে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি। এ ছাড়া স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনে বাংলাদেশ। এ জন্য ১৭টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেছে পেট্রোবাংলা। দেশে স্পট মার্কেটের কার্গো প্রথম আসে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!