শিরোনাম: লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার

শেখ হাসিনা: যার হাত ধরে সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১০:৫৯ : অপরাহ্ণ 653 Views

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পারিবারিক সূত্রে রাজনীতিতে পদার্পণ। তিনি রাজনীতিতে এলেন শোক, বেদনা, অশ্রুর সরণি বেয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল কুলাঙ্গার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা—বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সেদিন দেশের বাইরে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। বাবা-মা, ভাই-ভ্রাতৃবধূসহ আরও অনেক আপনজন হারানোর বেদনা নিয়ে তাদের এই বেঁচে থাকা কত কষ্টের, সেটা শুধু তারাই জানেন।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। রাজনীতির গতিপথ বদলে দেওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ যেন আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, স্বাধীনতার চেতনাবাহী কোনও দল বা ব্যক্তি যেন রাজনীতির মূলধারা হয়ে উঠতে না পারে, সে অপচেষ্টাই পরিকল্পিত ভাবেই করছে দেশবিরোধী শক্তিগুলো। আওয়ামী লীগকে দুর্বল করা, দলের মধ্যে বিভেদ-কোন্দল তৈরি করে দলকে অজনপ্রিয় ও জনবিছিন্ন রাখা—এসব পরিস্থিতির মধ্যে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয় দলের কাউন্সিল অধিবেশনে। তখন তিনি দিল্লিতে নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে এক বর্ষণমুখর বিকেলে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে ফেরেন।

প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় অবশ্যই লেগেছে। কিন্তু খুব দ্রুতই সবার কাছে, এমনকি দলের ‘চাচা’দের কাছেও এটা স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে যে, তিনি মুজিব-কন্যা। রক্তে তার রাজনীতি। বাবা যেমন ক্রমাগত নিজেকে অতিক্রম করে সবার থেকে আলাদা হয়ে উঠেন, ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, কন্যাও তেমনি ধাপে ধাপে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন, কেবলই সামনে এগিয়েছেন। মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। চলার পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না শেখ হাসিনার। ষড়যন্ত্র ছিল—ভেতর থেকেও যেমনি, বাইরে থেকেও তেমনি। পিতার মতো নেতৃত্বগুণ শেখ হাসিনার মধ্যে আছে কিনা, সে সংশয় কারও কারও মধ্যে ছিল। তাকে অসফল প্রমাণ করার অপচেষ্টাও ছিল। কিন্তু সব বাধা ডিঙিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন সফল রাজনীতিবিদ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন রাষ্ট্রনায়ক।

বিশ্বের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে যেমন সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে, তেমনি তিনি তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পদক ও পুরস্কার পেয়েছেন।

শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, তিনি রাজনীতি করেন দেশের মানুষকে কিছু দেওয়ার জন্য। তিনি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে দাঁড় করাতে। তিনি ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে রাখার নজির স্থাপন করেছেন। সংকট সমাধানে তার রয়েছে এক জাদুকরী ক্ষমতা।

শেখ হাসিনা মানেই এখন নতুন এক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি দেশের জন্য নিবেদিত নেত্রী। তিনি সুস্থ এবং কর্মক্ষম থাকলে বাংলাদেশের এগিয়ে চলা বন্ধ হবে না। তিনি বিশ্ব সভায় বাংলাদেশকে নতুন মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তিনি বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয়েছেন। জন্মদিনে শেখ হাসিনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!