শিরোনাম: জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার যৌথ বাহিনীর অভিযানঃ তিন উপজেলায় স্থগিত হলো ভোট

নজরুলে সম্মানসূচক ‘ডি-লিট’ গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রকাশের সময় :২৬ মে, ২০১৮ ১০:২২ : অপরাহ্ণ 520 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-ভারতের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার (ডি লিট)’ ডিগ্রি নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিশেষ সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক এই ডিগ্রি দেওয়া হয়।

এই ডিগ্রি দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী বলেন, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে এবং গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র দূরীকরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখার জন্য সম্মান জানানো হল শেখ হাসিনাকে।বাংলাদেশের জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীর দিনে তার নামে প্রতিষ্ঠিত ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হল ডি-লিট ডিগ্রি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শেখ হাসিনা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাকে দেওয়া এ সম্মান ‘সমগ্র বাঙালি জাতিকে উৎসর্গ’ করার ঘোষণা দেন।

“এই সম্মান শুধু আমার নয়, এ সম্মান বাংলাদেশের জনগণের।”

বাংলাদেশের জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীর দিনে ভারতে তার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হল সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমার জন্য আজকের দিনটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ এ কারণে যে, কবির জন্মদিন উপলক্ষে আমি তার জন্মভূমিতে আসতে পেরেছি এবং তারই নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার (ডি লিট)’ ডিগ্রি প্রদান করা হল।”
বিশেষ সমাবর্তন ও ডি-লিট প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, গওহর রিজভী, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “কবি নজরুল, যিনি সব সময় আমাদের চেতনায় জাগ্রত থাকেন, কারণ আমাদের বাংলা সাহিত্যের আকাশে নতুনের কেতন উড়িয়ে ধুমকেতুর মতো ছিল বিদ্রোহী কবির আগমন এবং বাংলা সাহিত্য তিনি সোনার ফসলে ভরিয়ে গেছেন।

“তিনি শুধু যে কবি ছিলেন তা নয়, তিনি উপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক, নাট্যকার, নাট্যাভিনেতা, সাংবাদিক, সম্পাদক এবং সৈনিক। কোথায় না তার বিচরণ ছিল। কবি নজরুল ছিলেন এক বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী।”

হামদ-নাতের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম এবং শ্যামা সঙ্গীত, কীর্তন বৈষ্ণব গীতি রচনা করে হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে যাওয়ার বিরল প্রতিভা কবি নজরুলের ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলা ভাগ হতে পারে, কিন্তু নজরুল-রবীন্দ্রনাথ ভাগ হয় নাই। সকলেই দুই বাংলার।”
এ সময় অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল/ সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে /ভাগ হয়নি কো নজরুল।’

“সত্যিই নজরুল ভাগ হয়নি,” বলেন হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নজরুলের কবিতা থেকে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর তরুণ বয়সে নজরুলের সঙ্গে পরিচয় এবং নজরুল সাহিত্য দ্বারা বঙ্গবন্ধুর উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “একজন ছিলেন সাহিত্যের কবি, আর অন্যজন ছিলেন রাজনীতির কবি।”

দুজনই অসাম্প্রদায়িক ও শোষণ-বঞ্চনাহীন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

“কবি নজরুল অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী ছিলেন। সেই চেতনায় আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলছি।”

শেখ হাসিনা সমাবর্তনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করার আহ্বান জানান।

সকালে কলকাতা থেকে বিমানে দুর্গাপুরের কাজী নজরুল বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে সড়কপথে দুপুরে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। এরপর শুরু হয় বিশেষ সমাবর্তন ও ডি-লিট প্রদান অনুষ্ঠান।
আসানসোল থেকে কলকাতায় ফিরে নেতাজী জাদুঘর পরিদর্শন এবং স্থানীয় সাংসদদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর শনিবার রাতেই ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ও বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন এবং কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে ভারত পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে কলকাতা পৌঁছে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে শান্তিনিকেতন যান। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমাবর্তনে অংশ নেয়া এবং শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের ফলক উন্মোচন করেন।

এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।

বিকেলে কলকাতায় ফিরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা, হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং রাতে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নরের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!