ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ: শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক, উদার চেতনা


প্রকাশের সময় :১৭ অক্টোবর, ২০১৮ ৩:৩৪ : অপরাহ্ণ 672 Views

বান্দরবান অফিসঃ-ঢাকেশ্বরী মন্দির বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন একটি মন্দির। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশসমূহের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে শত বছরেরও পুরোনো প্রাচীন এ মন্দিরের ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যগত গুরুত্ব অনেক। কালের পরিক্রমায় এ মন্দির বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ এবং আন্তঃধর্মীয় সহাবস্থানের প্রত্যক্ষ নজির হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯০৮ সালে ভাওয়ালের রাজা এ মন্দিরের জন্য জমি দান করেন। কালক্রমে মন্দিরের প্রাথমিক দানকৃত জমি বিভিন্ন সময়ে বিক্রয় ও বেদখল হয়ে যায়। ভারত ভাগের পরবর্তী সময়ে তৎকালীন কয়েকজন সেবায়েত এ মন্দিরের বেশ কিছু জমি স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করে দেন। কয়েক দফায় হাত বদলের পর মন্দিরের ৩২ কাঠার অধিক জমির ক্রয়সূত্রে মালিকানা জনাব আজম আজমী এবং তার তিন ভাই লাভ করেন এবং জমিটি নিজেদের দখলে রাখেন। ষাটের দশক থেকেই এ জমি নিয়ে আজমী পরিবারের সাথে মন্দির কর্তৃপক্ষের দেওয়ানী মোকদ্দমা চলছে। পঞ্চান্ন বছরের অধিক সময় ধরে মোকদ্দমা চলার পরও জমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতার আইনগত সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার নির্দেশনা দেন। তাঁর দিক-নির্দেশনায় সেই ৩২ কাঠা জমির ক্রয় ও দখল সূত্রের মালিক আজম আজমী পরিবার এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। আলোচনা চলাকালীন সময়ে আজম আজমী পরিবার মন্দিরের ঐতিহ্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহের কথা বিবেচনা করে স্বল্পমূল্যে (১০ কোটি টাকা) উক্ত জমি মন্দিরের কাছে হস্তান্তরের জন্য রাজি হন। এ বিষয়ে তাদের উপর কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। বরঞ্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অন্যধর্মের প্রতি উদার মনোভাবের কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তারা তাদের জমিটুকু স্বল্পমূল্যে হস্তান্তরে খুশি। তারা এ বিষয়ে কাউকে অপরাজনীতি না করতে তারা অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশে আন্তঃধর্মীয় সহাবস্থানের আরেকটি যথাযথ উদাহরণ হিসেবে এই জমি হস্তান্তরের ঘটনাটি উল্লেখযোগ্য থাকবে। মুসলিম পরিবারের মালিকানায় থাকা জমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যথাযথ দিক-নির্দেশনায় অত্যন্ত সুন্দরভাবে মন্দিরের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান আছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতির মূল অবদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যা আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত কিংবা মিয়ানমারের জন্যেও শিক্ষণীয়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!