বান্দরবান অফিসঃ-পাঁচটি যোগ্যতা পূরণ করলেই কেবল এবার ছাত্রলীগের নেতা হওয়া যাবে।শুধু বয়স এবং বিগত কমিটিতে কি অবস্থায় ছিলেন,তা বিবেচনায় নেওয়া হবে না কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩ মে রাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতার কাছে আওয়ামীলীগ সভাপতি এই পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন।এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সংগঠনের সম্পাদক এনামুল হক শামীম উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনের জন্য যে ৫ টি শর্ত দিয়েছেন এগুলো হলোঃ-
এক. ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকেই ছাত্রলীগ করতে হবে।আগে অন্য ছাত্র-সংগঠন করতো এখন ছাত্রলীগ করে,এমন কাউকে শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য বিবেচনা করা হবে না।
দুই. পারিবারিক পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে।ছাত্রলীগ নেতার বাবা,মা,ভাই,বোন কি ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তা জানতে হবে।পরিবারের কেউ বিএনপি-জামাত বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকলে,ঐ ছাত্রলীগ কর্মী নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হবে না।
তিন. নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হতে হলে ছাত্রলীগ কর্মীকে নিষ্কলুষ থাকতে হবে।তাঁর বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসের কোনো মামলা কিংবা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা যাবে না।
চার. ছাত্রলীগ নেতা হতে চাইলে তাকে শুধুই ছাত্র হতে হবে।ছাত্র আবার ব্যবসা করে এমন ছাত্রলীগ কর্মী নেতা নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবে।মেধাবী ছাত্ররা অগ্রাধিকার পাবে।
পাঁচ. কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ছাত্রলীগ কর্মী নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হবে না।
এই পাঁচশর্ত পূরণকারীদের মধ্যে থেকেই আগামী দিনের ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে বিবেচিত হবেন।