এশিয়ায় কূটনৈতিক প্রভাব বাড়ছে বাংলাদেশের


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:৪৩ : পূর্বাহ্ণ 254 Views

বিশ্বমঞ্চে কূটনৈতিক প্রভাব বাড়ছে বাংলাদেশের। বিশেষ করে এশিয়া অঞ্চলে ক্রমেই কূটনৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে উঠছে লাল-সবুজের দেশ। আর তার নমুনা দেখা গেছে সম্প্রতি প্রকাশিত এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স ২০২১ র‌্যাংকিংয়ে। এই তালিকায় বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯তম।

অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাংক লোয়ি ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ক্ষমতার সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৯ দশমিক ৪। তালিকায় ২৬টি দেশের মধ্যে গত বছর বাংলাদেশ ১৮তম ছিল। অর্থাৎ এ বছর একধাপ নিচে নেমে গেছে।

তবে কূটনৈতিক প্রভাব ও প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের সূচকে বাংলাদেশের বড় উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। এ বছর বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রভাব বেড়েছে ৪ দশমিক ১ পয়েন্ট এবং প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক বেড়েছে ০.৯ পয়েন্ট। তবে কমে গেছে সহনশীলতা ও সামরিক সক্ষমতা। এ দুটি বিভাগে বাংলাদেশের পয়েন্টে কমেছে যথাক্রমে ০.৬ ও ০.৭। মূলত এ কারণেই সার্বিক র‌্যাংকিংয়ে ব্রুনাইয়ের (১৮তম) নিচে নেমে যেতে হয়েছে তাকে।

তবে অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ পুঁজির দিক থেকে বাংলাদেশ আগের মতোই শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। অর্থনৈতিক সক্ষমতার সূচকে দেশটির অবস্থান অপরিবর্তিত, অর্থাৎ ১৬তম। আর ভবিষ্যৎ পুঁজির সূচকে একধাপ এগিয়ে এখানেও ১৬তম বাংলাদেশ।

লোয়ি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, কোনো দেশের সঙ্গে যেসব দেশ বা অঞ্চলের বাণিজ্য বেশি, তারাই ওই দেশটির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। সেদিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ায় এ দেশে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ভর করে ইইউ’র ওপর। দ্বিতীয় অবস্থানে চীন (১৫ দশমিক ৩ শতাংশ), তৃতীয় ভারত (৯ দশমিক ৩ শতাংশ), চতুর্থ যুক্তরাষ্ট্র (৮ শতাংশ) এবং পঞ্চম যুক্তরাজ্য (৩ দশমিক ৭ শতাংশ)।

একইভাবে, যেসব দেশের ওপর বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি প্রভাব খাটায়, তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত (১ দশমিক ৪ শতাংশ)। এরপর পাকিস্তান (০.৯ শতাংশ), রাশিয়া (০.৭ শতাংশ), ইন্দোনেশিয়া (০.৭ শতাংশ) ও শ্রীলঙ্কা (০.৫ শতাংশ)।

২০১৮ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক ক্ষমতার সূচক প্রকাশ করে আসছে লোয়ি ইনস্টিটিউট। তবে এই তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলোকেও।

সূচকে যেসব দেশের পয়েন্ট ৭০’র ওপর তাদের সুপার পাওয়ার বা পরাশক্তি, ৪০’র ওপর হলে মেজর পাওয়ার বা বড় শক্তি, ১০’র ওপর মিডল পাওয়ার বা মধ্যম শক্তি এবং যাদের পয়েন্ট ১০’র নিচে তাদের মাইনর পাওয়ার বা ছোট শক্তি হিসেবে ধরা হয়।

তালিকায় একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনই পরাশক্তি ক্যাটাগারিতে ঠাঁই পেয়েছে। তাদের পয়েন্ট যথাক্রমে ৮২ দশমিক ২ এবং ৭৪ দশমিক ৬। মধ্যম শক্তি হিসেবে সার্বিক ক্ষমতার সূচকে তৃতীয় হয়েছে জাপান (৩৮ দশমিক ৭)। চতুর্থ ভারত, তাদের সংগ্রহ ৩৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট।

শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হলো রাশিয়া (৩৩), অস্ট্রেলিয়া (৩০ দশমিক ৮), দক্ষিণ কোরিয়া (৩০), সিঙ্গাপুর (২৬ দশমিক ২), ইন্দোনেশিয়া (১৯ দশমিক ৪) এবং থাইল্যান্ড (১৯ দশমিক ২)।

এছাড়া ১২তম অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম (১৮ দশমিক ৩ পয়েন্ট), পাকিস্তান ১৫তম (১৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট), উত্তর কোরিয়া ১৭তম (১১ দশমিক ৫ পয়েন্ট)।

ভারত-বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় জায়গা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা (৮ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিয়ে ২০তম) এবং নেপাল (৪ দশমিক ৫ পয়েন্ট নিয়ে ২৫তম)।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!