সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে বর্তমানে অসংখ্য অনলাইন গণমাধ্যম চালু রয়েছে। ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে অনলাইন গণমাধ্যমের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই অনলাইন গণমাধ্যমকে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আমরা ‘অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা’প্রণয়ন করছি। অচিরেই এই নীতিমালা বাস্তবায়ন হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। সাইবার ক্রাইম নীতিমালা করছি ক্রাইম রোধ করার জন্য। আমি সাংবাদিকদের বলতে চাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকার তাদের অসুবিধা হয় এমন কিছু করবে না। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকার সাধ্যমতো কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন- ২০১৪ প্রণয়ন করেছি। সংবাদপত্রকর্মী (চাকরী শর্তাবলী) আইন- ২০১৫ এর খসড়া প্রণয়ন করেছি। সাংবাদিকদের জন্য প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলন-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব ওমর ফারুক। অন্যদের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, ময়মনসিংহের সভাপতি আতাউল করিম, কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, বগুড়ার সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টু, রাজশাহীর সভাপতি কাজী শাহেদ, নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আব্দুস সালাম, যশোরের সভাপতি সাজেদ হোসেন, কক্সবাজারের সভাপতি আবু তাহের, খুলনার সভাপতি জাহিদ হোসেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নিহত সাংবাদিকদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএফইউজের বিভিন্ন ইউনিটের ১০ জন সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি তরুণ তপন চক্রবর্তী ও সম্পাদক আল মামুন সাংবাদিকদের বরাদ্দ দেয়ার জন্য জমির কিছু কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকার সাধ্যমতো কাজ করছে। আমরা ১২ হাজারের বেশি সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। বিভিন্ন ভাষা শেখা সাংবাদিকদের দায়িত্ব। এজন্য কয়েকটি অ্যাপস চালু করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে গত সাত বছরে সাত হাজারেরও বেশি সংবাদপত্র নিবন্ধন পেয়েছে বলে জানান তিনি। নিজেকে সাংবাদিক পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাও সাংবাদিকতা করেছেন, যা তিনি তার আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন। সে অর্থে আমিও আপনাদের পরিবারেরই একজন সদস্য। দাবি-দাওয়া ছাড়াই আমি সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি।