শিরোনাম: বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনঃ আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ কর্মপরিকল্পনা লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক

সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের যতসব ভন্ডামী


প্রকাশের সময় :৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ১:৫৪ : পূর্বাহ্ণ 926 Views

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্কঃ-সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটির সামাজিক ব্যবস্থাকে পরিবর্তনে কাজ শুরু করেছেন। তাঁর উদ্যোগে নারীদের গাড়ি চালানোর এবং স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অনুমতি দিয়েছে দেশটির রাজতন্ত্র। সিনেমা হলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়ছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন তিনি। আর তেল থেকে নির্ভরতা কমাতে, অর্থনৈতিক সংস্কারে ‘ভিশন ২০৩০’ গ্রহণ করেছেন। এই পরিকল্পনার অধীনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন কর্মকাণ্ড দেশটির তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। কিন্তু যুবরাজের এমন জনপ্রিয়তায় ছায়া ফেলেছে তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন।

২০১৫ সালে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি প্রাসাদ কেনেন যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। সংবাদ মাধ্যম টাইমসের খবরে বলা হয়, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি। একই বছর ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী কেনেন তিনি। সম্প্রতি ৪৫০ মিলিয়ন ডলারে শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা একটি ছবি কিনেছেন। আর এ সবই তিনি করেছেন বেনামে।

সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে প্রিন্স ও ব্যবসায়ীসহ প্রায় ২০০ জনকে আটক করে সৌদি সরকার। এটিকে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের চেয়ে ক্ষমতা সংহত করার প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন অনেকে। আর আটকের পর তাদের বিলাসবহুল হোটেলে বন্দী রেখে বিচারের পরিবর্তে তাদের সম্পদ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বাধ্য করা হয়। এটি আইনি শাসনের অনুসরণ নয়, বরং একটি স্বৈরাচারি শাসন ব্যবস্থাকেই সামনে নিয়ে আসে।

তিনি যদি সত্যিই একটি আধুনিক এবং উদার সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে তাঁর উচিত সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী চিন্তক এবং রাজনৈতিক কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাস করছেন,তাদের মুক্তি দেওয়া। এর পরিবর্তে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বরং রাজনৈতিক বিরোধী এবং ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসীদের আটক এবং দমন করছেন। মোহাম্মদ বিন সালমানের উচিত এই ভিন্ন মতাবলম্বী এবং মতাদর্শের রাজনৈতিক কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া এবং তাদের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!