অর্থনীতির ‘বিশ্বকাপে’ বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ নভেম্বর, ২০২১ ১১:৪৩ : অপরাহ্ণ 168 Views

এবার বাংলাদেশ দলে ছিল সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের আবরার জামিল, মাস্টারমাইন্ডের জারিফ শাফাকাত ও মো. তানজিম হোসাইন, স্কলাসটিকার সৈয়দ মুনতাসির তাসদিদ, সানিডেইলের রাফায়েল জীবরান ও সানবিমসের আরমিন আহমেদ। ছয় প্রতিযোগীর কোচ হিসেবে ছিলেন আখতার আহমেদ। প্রতিযোগীদের মধ্যে আবরার স্বর্ণ, জারিফ রৌপ্য ও বাকি সবাই ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। পদক জয়ের পাশাপাশি আবরার ও তাসদিদ স্থান পেয়েছে ‘ডিপ ফান্ডামেন্টাল’ রাউন্ডের সেরা দশে।

এবারের আসরটি তিনটি ভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় অর্থনীতির মৌলিক বিষয়সমূহের ওপর ভিত্তি করে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে মূলত ম্যাক্রো ও মাইক্রো ইকোনমিকসের ভেতর থেকেই প্রশ্নগুলো করা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় ধাপে প্রতিযোগীদের ১৫০ মিনিটের মধ্যে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করে আনতে হয়। সর্বশেষ ধাপে তাদের একটি বিষয় দেওয়া হয়, যা থেকে ২৪ ঘণ্টার ভেতরে দলগতভাবে একটি প্রেজেন্টেশন দিতে হয় জুরিবোর্ডের সামনে। আর সেই প্রেজেন্টেশনের ভেতর সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী চিন্তা অবশ্যই থাকতে হবে।

বাংলাদেশ গত বছরের প্রথম আসরেও একটি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জপদক অর্জন করে। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ ইকোনমিকস অলিম্পিয়াড আয়োজিত প্রতিযোগিতায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ন্যাশনাল ক্যাম্পের জন্য বাছাই করে নেওয়া হয় ২২ সদস্যকে। সেখান থেকে নানা যাচাই-বাছাই করে ছয় সদস্যকে নিয়ে তৈরি হয় অর্থনীতির বিশ্বকাপের ‘টিম বাংলাদেশ’।

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তানজিম বলল, ‘চীনে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আর ঘরে বসে অনলাইনে অংশ নেওয়া—দুটো বিষয় অনেকটাই আলাদা হলেও যেকোনো বিশ্ব আসরে যে ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ পাওয়া যায়, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিকস কাপেও এর কোনো কমতি ছিল না। তা ছাড়া আমাদের সবারই এই প্রথম এ ধরনের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা হলো। তাই বাংলাদেশকে অর্থনীতির এই বিশ্ব আসরে তুলে ধরার ব্যাপারটাও মাথায় ছিল।’

অনলাইনে প্রতিযোগিতা হওয়ায় অবশ্য বাংলাদেশ দলের সদস্যদের খানিকটা মন খারাপই হয়েছে। সরাসরি গিয়ে অংশ নিতে পারলে অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার একটা সুযোগ হতো, একে অপরের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যেত। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে তারা একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। তাই সরাসরি দেখা না হলেও বন্ধুত্ব কিছুটা হলেও গড়ে উঠেছে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

অনলাইনে আয়োজন হলেও প্রতিযোগিতায় একচুল ছাড় ছিল না বলে জানাল তানজিম। বরং বিশ্বখ্যাত এমআইটি, অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত জুরিবোর্ড একের পর এক প্রশ্নে নাকাল করেছে প্রতিযোগীদের। বিশেষ করে কঠিন ছিল তৃতীয় পর্বের প্রেজেন্টেশন। তবে শেষ পর্যন্ত ঠিকই উতরে গেছে বাংলাদেশ দল। কারণ, প্রশ্ন যত কঠিনই হোক, প্রতিযোগীদের আত্মবিশ্বাস ছিল—আমরা পারব।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!