চাপ বাড়ছে মির্জা ফখরুলের,বিব্রত ফখরুলপন্থীরা


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ মার্চ, ২০১৯ ১১:১৩ : পূর্বাহ্ণ 519 Views

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয় ও খালেদার মুক্তির আন্দোলনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যর্থ বিএনপির সমস্ত দায় ঘিরে ধরেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দর্শক সারি থেকে দলের নেতাকর্মীরা পরাজয় বিষয়ে কৈফিয়ত চাইছেন। জর্জরিত করছেন বিভিন্ন প্রশ্নবাণে। এতে মির্জা ফখরুলের পাশাপাশি বিব্রত হচ্ছেন ফখরুলপন্থী নেতারা।

গত ২৪ মার্চ রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে তার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চান, খালেদা জিয়া আজও জেলে কেন?

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরো বলেন, কেন এই নির্বাচনে আমরা গেলাম? কথা হলো নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না, কিন্তু তা তো হলো না। দলীয় সরকারের অধীনেই হলো। কথা হলো খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না, কিন্তু খালেদা জিয়া ছাড়া আমরা নির্বাচনে গেলাম। কেন এ অবস্থা হলো? কেন আজও খালেদা জিয়া জেলে? কেন একটা দাবিও সরকার মানল না?

শুধু তাই নয়, দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে মির্জা ফখরুলকে বিব্রতকর প্রশ্নের সম্মুখীন করা হচ্ছে। গত ৩ জানুয়ারি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরসহ একাধিক প্রার্থী মির্জা ফখরুলসহ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

এমন পরিস্থিতি বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই ফখরুল সাহেবকে কোণঠাসা করে রাখার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বৈঠকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নের সূচনা করে তাকে ব্রিবত করা হচ্ছে। নির্বাচনে দলের এমন পরাজয় কেন হলো, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন কেন রাজপথে উঠলো না- এসব প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হচ্ছে ফখরুল সাহেবের দিকে। কিন্তু কেন এমন হবে? নির্বাচন কেন্দ্রিক যেকোন সিদ্ধান্ত এককভাবে নেয়া হয়নি। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বসেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ব্যর্থ হলে দায় স্থায়ী কমিটির সবার। শুধু মহাসচিবের নয়।

বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে বিতর্ক সৃষ্টি করতে সরকারের কারসাজিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এ ধরনের কথা উঠছে। সরকারের একটি সংস্থা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টির অংশ হিসেবে এসব কথা বলছে। আবার বিএনপিরই কোনো কোনো নেতা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সরকারের এই চক্রান্তে অংশ নিয়ে এসব প্রশ্ন তুলছেন।
যদিও মির্জা ফখরুলের প্রতি নেতাদের এমন আচরণ মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা বা প্রক্রিয়া বলেই মনে করছে রাজনীতি সচেতন সুশীল সমাজ।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!