শিরোনাম: বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার যৌথ বাহিনীর অভিযানঃ তিন উপজেলায় স্থগিত হলো ভোট প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পের আওতায় মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত রুমার দুর্গম মুনলাইপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আর দুইজন রিমান্ডে বান্দরবানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধের আহবান জানালো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নেতারা

প্রথম ধাপের তালিকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ২ রাজাকার


সিএইচটি টাইমস রিপোর্ট প্রকাশের সময় :১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১১:৩৯ : অপরাহ্ণ 1285 Views

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রথমধাপের তালিকায় নাম রয়েছে বান্দরবান বোমাং সার্কেলের ১৫তম রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরী এবং রাঙামাটির চাকমা সার্কেলের ৫০তম রাজা ত্রিদিব রায়।তবে তৎকালীন তালিকাভুক্তদের মধ্যে প্রথমধাপে শুধুমাত্র ২ জন রাজাকারের নাম প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

জানা গেছে, রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরী ১৯১৪ সালের ১ আগস্ট জন্ম গ্রহণ করেন।১৯৯৮ সালে তিনি বোমাং রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।২০১২ সালের ৮ আগস্ট তিনি ৯৮ বছর বয়সে নিজ বাড়ি বান্দরবানের মধ্যম পাড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘ ১৪ বছর বোমাং রাজার দায়িত্ব পালন করেন।

অপরদিকে রাজা ত্রিদিব রায় ১৯৩৩ সালের ১৪ মে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালের ২ মে তিনি রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ শহরে ৭৯ বছর বয়সে ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর চাকমা রাজার দায়িত্ব পালন করেন।

বান্দরবানের সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াব বলেন, বান্দরবান জেলায় তৎকালীণ গেজেটভূক্ত ২৫ জন তালিকাভুক্ত রাজাকার রয়েছে। প্রথমধাপে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকায় তাদের মধ্যে শুধুমাত্র রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরীর নাম প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজা অং শৈ প্রু চৌধুরীসহ আরও অনেকে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। অন্যদের নামও ধাপে ধাপে প্রকাশিত হবে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাজাকারের তালিকার কপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে।

আবদুল ওয়াব বলেন, ওই তালিকায় বান্দরবানের উচ্চ পদস্থ দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনেকের আত্মীয়-স্বজনের নামও রয়েছে। আমরা চাই দেশবাসীর স্বার্থে সব রাজাকারের নাম ঘোষণা করা হোক। অন্যথায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা শান্তি পাবে না।

রাঙামাটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টু বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজা ত্রিদিব রায় দেশের বিরুদ্ধে ছিল। শত্রু পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছেন রাজা ত্রিদিব রায়সহ রাঙামাটির আরও অনেকে। রাজাকারের তৎকালীন একটি তালিকাও রয়েছে। তবে সংখ্যাটি তাৎক্ষণিক মনে পড়ছে না। যুদ্ধে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করা রাজাকারদের সবার নাম প্রকাশ করা দরকার।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!