শিরোনাম: বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার যৌথ বাহিনীর অভিযানঃ তিন উপজেলায় স্থগিত হলো ভোট প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পের আওতায় মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত রুমার দুর্গম মুনলাইপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আর দুইজন রিমান্ডে বান্দরবানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধের আহবান জানালো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নেতারা

আজকে থানচিতে কলেজ হবে,রাস্তা হবে,হাসপাতাল হবে তা আগে কেউ চিন্তা করে নাইঃ-(পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী)


প্রকাশের সময় :৬ জুলাই, ২০১৮ ৭:২১ : অপরাহ্ণ 597 Views

বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলাকে চিরসবুজের শহরে রূপান্তরের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি ইউনিয়নের অনগ্রসর জনগোষ্ঠি ও নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে,আগামীতে এই উন্নয়নের ধারা আরো গতিশীল করতে আওয়মীলীগ সরকারকে পূণরাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

গতকাল ৫জুলাই বৃহস্পতিবার বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বান্দরবান সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের অনগ্রসর জনগোষ্ঠি ও নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন ফলজ চারা,গরু ছাগল,কপি চারা,বাদ্য-যন্ত্র ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ এবং মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রি বীর বাহাদুর এমপি,এসব কখা বলেন।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্য সা প্রু এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন,পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার,জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃশহিদুল আলম,জেলা পরিষদের নির্বাহী মোঃ নরুল আবছার,বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষিপদ দাশ,পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোঃমোজাম্মেল হক বাহাদুর, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তংচঙ্গ্যা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোঃমোস্তাফা জামাল,পার্বত্য জেলা পরিষদের মহিলা সদস্যা ফাতামা পারুল প্রমুখ।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন,বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম।এ এলাকায় উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আরো দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।দীর্ঘ ২ যুগ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বলতে কিছু ছিল না।আমরা ধর্ম কর্ম শান্তিতে করতে পারতাম না।হানাহানি মারামারি ছিল।পূর্ণিমা রাতের আলো দেখা যেত না।যেটিকে কোন সরকার অনুধাবন করতে পারেন নাই সেটিকে সাহসের নেত্রী হিসাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন।তিনি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসছেন বলেই,আমরা সংলাপের মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌছালাম, সেটা হলো শান্তিচুক্তি।বন্দুকের পরিবর্তে গুলি নয়, ভালবাসা দিয়ে আস্থা দিয়ে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এ এলাকার মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করার জন্য আমরা সবকিছুর সমাধান ফেলাম ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সেটাও জননেত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টার ফলে হয়েছে।আজকে থানচিতে কলেজ হবে,রাস্তা হবে,হাসপাতাল হবে তা আগে কেউ চিন্তা করে নাই।

আজকে রোয়াংছড়ি কচ্ছপতলীতে কোনদিন রাস্তা হবে কেউ কোনদিন কল্পনাও করে নাই।তারাছা গিয়ে রাতে ঘুমাতাম তারপর সকালে উঠে রোয়াংছড়ি যেতাম সেই দিন আর নেই।সবকিছু সম্ভব হয়েছে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে এ এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে বলেই এ এলাকায় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে।একটি পরিবারের বাবা মা যদি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হন,তিনি সংসারের প্রতি যদি দায়িত্বশীল হন,তিনি যদি পরিকল্পনা করে তার সংসারকে,ছেলে মেয়েকে একটি উন্নতির পর্যায়ে নিয়ে চায়।

সেই রকম দূরদৃষ্টি থাকলে পরিবার শিক্ষিত হয়,সুখী হয়।একটা রাষ্টের প্রধান যদি চিন্তা করেন তার দেশের মানুষকে কি রকম দেখতে চায়,তার দেশকে কি রকম দেখতে চায়,তাহলে সে রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যেমন স্বপ্ন দেখতেন,এ জাতির একটা স্বাধীন রাষ্ট্র হবে,জাতীয় পতাকা হবে,জাতীয় সংগীত হবে,সংবিধান হবে সেটাও তার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তার প্রতিফলনের কারনে সবকিছু সম্ভব হয়েছে। পরিবার প্রধান যদি মনে করেন,তার সন্তানদের কিভাবে পরিচালনা করবেন,তিনি তার পরিবারকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করবেন এবং তিনি যদি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উৎপাদনের জন্য কাজে লাগান,গরু-ছাগল,মৎস্য উৎপাদন ইত্যাদি।তেমনি জননেত্রী শেখ হাসিনাও ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি করার মাধ্যমে তার সেদিনের দূর দৃষ্টি সংক্রান্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে আজ,আমরা কে পাহাড়ী কে বাংগালী,কে ধনী কে গরীব তা বড় কথা নয়। আমরা সকলে বান্দরবানের উন্নয়নের জন্য বান্দরবানবাসী সমন্বিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে তাও প্রধানমন্ত্রির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ এলাকার উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে।বিভিন্ন এলাকার দারিদ্র কৃষকদের ও নারীদের মাঝে ৫০ জোরা গাভী ও ছাগল,বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ চারা,মৎস্য পোনা, ক্লাব ও সমিতি ঘরের জন্য ক্রীড়া সামগ্রী ও বাদ্য-যন্ত্র বিতরণ করা হয়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!