পার্বত্য অঞ্চলের রাজনৈতিক বরপুত্র বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ দীপংকর তালুকদার ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুরের সুপারিশ ক্রমে প্রধানমন্ত্রী নিখিল কুমার চাকমার কাঁধে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব অর্পণ করলেন। নিখিল কুমার চাকমা দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ বছর পর রাঙ্গামাটি জেলা বাসীর প্রাণের দাবি পূরণ হলো।
গত কয়েক দিন ধরে পার্বত্য রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় কে চেয়ারম্যান হচ্ছে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠে। তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ কয়েক জনের নাম চেয়ারম্যান পদে শোনা গেলেও বরাবরই নিখিল কুমার চাকমা ছিল আলোচনার শীর্ষে।
কারণ পার্বত্য মন্ত্রী মারমা, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ত্রিপুরা, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ মারমাদের দখলে চলে গেছে। বাকি রয়েছে চাকমা সম্প্রদায়ের লোক। তাই হয়তো নিখিল কুমার চাকমা, বাসন্তি চাকমা এমপি ও সচিব সুদত্ত চাকমার নাম আলোচনায় উঠে আসে। তবে শেষ মুহূর্তে হাসল রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সফল চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দীপংকর তালুকদারের আস্থাভাজন নিখিল কুমার চাকমা।
ইতিমধ্যে গত ৩ দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিখিল কুমার চাকমাকে নিয়ে বিভিন্ন কমেন্ট শুরু হয়েছে। দীর্ঘ বছরে রাজনীতিক জীবনে যাদের ভালোবাসা পেয়েছেন সকলেই তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন তার এই সফলতা কামনায়। দীর্ঘ বছর পর আবারো বড় কোন দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গতকাল বিকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নবাগত চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দীপংকর তালুকদার এমপি এবং পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর আমাকে যোগ্য মনে করেছেন বলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব ভার দিয়েছেন।
আশা রাখি, তারা পার্বত্য মানুষের উন্নয়নের জন্য আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি তাদের আশা পূরণ করে পার্বত্য মানুষের উন্নয়নে নিজেকে মনোনিবেশ করব। তিনি বলেন, আমি তিন পার্বত্য জেলার মানুষের উন্নয়নে নিজেকে তুলে ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিজের মন প্রাণ উজার করে দিব।
নিখিল কুমার চাকমা রাঙ্গামাটি জেলার প্রবীণ ব্যক্তি নানিয়ারচর উপজেলার প্রয়াত তিলক চন্দ্র চাকমার সন্তান। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। তিনি নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে নিজেকে একজন সফল চেয়ারম্যান হিসেবে রাঙ্গামাটি জেলার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি পাহাড়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন বলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য অঞ্চলের অহংকার দীপংকর তালুকদার ও পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি তাকে নতুনভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব ভার অর্পণ করেন।
