সূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই বাংলাদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু বিধিবিধান অনুসরণ করতে বলা হয়। সেখানে নাগরিকরা কোথায় যেতে পারবেন অথবা কোথায় যেতে পারবেন না- সে সংক্রান্ত নির্দেশনাও দেয়া হয়। তাতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে অবস্থানরত কোনো মার্কিন অফিসিয়াল নির্ধারিত এলাকা ও নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোথাও যেতে পারবে না।
ওয়েবসাইটের নির্দেশনা অনুযায়ী, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট মোহাম্মদপুরে সুজন সম্পাদকের বাসায় যেতে পারেন না। কোনো ধরণের প্রটোকল ছাড়া কূটনৈতিক পাড়ার বাইরে ব্যক্তিগত আমন্ত্রণ রক্ষার্থে সুজন সম্পাদকের বাসায় গিয়ে মার্শা বার্নিকাট নিজ রাষ্ট্রের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ৪ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)- এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেওয়ার জন্য মোহাম্মদপুরে যান। নৈশভোজ শেষে বেরিয়ে আসার সময় কয়েকজন যুবক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। বলা হয়, রাষ্ট্রদূতের গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে ইট-পাটকেলও ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। মার্শা বার্নিকাটের গাড়ি চলে গেলে বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ তোলেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছু উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করেছিল মাত্র। এদিকে, মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা সংক্রান্ত থানায় কোনো মামলায়ও করা হয়নি বলে জানা গেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হমলার ঘটনায় সমালোচনা করছে দেশের বিভিন্ন মহল। কিন্তু একটি প্রশ্ন কেউ করছে না। মার্শা বার্নিকাট অরক্ষিত অবস্থায় ওই এলাকায় তখন কী করছিলেন? কেন গিয়েছিলেন? এসবের কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
সুশীল সমাজ বলছে, চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সুশীল সমাজও সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। এমন সময় বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় মার্শা বার্নিকাটের আতিথ্য গ্রহণ ও তাঁর গাড়িতে হামলার ঘটনা পুরো বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পারে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিজ রাষ্ট্রের নির্দেশ অমান্য করে গতকাল একটি প্রশ্নবিদ্ধ কাজ করেছেন।