শিরোনাম: বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার যৌথ বাহিনীর অভিযানঃ তিন উপজেলায় স্থগিত হলো ভোট প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পের আওতায় মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত রুমার দুর্গম মুনলাইপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আর দুইজন রিমান্ডে বান্দরবানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধের আহবান জানালো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নেতারা

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৫ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ৩:০২ : অপরাহ্ণ 446 Views

টানা দুই মাস ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন দিন দিন কমে আসছে। নতুন আক্রান্তের হার কমার পাশাপাশি রোগাক্রান্ত অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় হাসপাতালেও ডেঙ্গু রোগী কমছে প্রতিদিন। জনসচেনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ কদিন ধরে গরমের কারণে মশার অতিবিস্তার না হওয়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমার একটি কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে চলতি মাস এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ তাদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী, সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ৯৫ শতাংশ রোগী বাসায় ফিরে গেছেন। এ বছর এ পর্যন্ত মোট ৭২ হাজার ৭৪৫ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৮ হাজার ৮১১ জন। এবার বর্ষার শুরুতেই এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ প্রকট আকার ধারণ করে। বিশেষ করে জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে গিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে। শুরুর দিকে শুধু রাজধানীতে প্রকোপ দেখা গেলেও জুলাইয়ের শেষ দিকে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে।
গত কয়েকদিনে রাজধানী ঢাকা ও বাইরের জেলাগুলোতে ডেঙ্গু রোগী কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি নেমে এসেছে সর্বত্র। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যেখানে লম্বা লাইন থাকত ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের সেখানেও চাপ কম লক্ষ্য করা গেছে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদেরও বেশিরভাগ সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। ফলে রোগী সামাল দেয়া চিকিৎসক, নার্সদেরও ব্যস্ততা কিছুটা কমেছে।
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী গত চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন এক হাজারের নীচে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল ভর্তি হয়েছে ৭৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৪৪ জন আর ৪৩৯ জন ভর্তি হয়েছে ঢাকার বাইরে। সোমবার ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ৮৬৫ জন। আর রবিবার রোগীর সংখ্যা ছিল ৯০২ জন।
তবে ঢাকার বাইরে রোগী বেশি হওয়ার কারণ খুঁজতে ইতোমধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগী কমে আসলেও সেপ্টেম্বর, এমনকি অক্টোবর পর্যন্ত এডিস মশার উপদ্রপ থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে সেপ্টেম্বর মাসে বেশ কিছুদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ফলে আবারও বেড়ে যেতে পারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী একযোগে কাজ করছে ডিএসসিসি, ডিএনসিসিসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো।

তাই রোগী কমায় স্বস্তি প্রকাশ করলেও এর প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা মাথায় রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক জানান, ডেঙ্গু রোগী কমছে এটা অবশ্যই স্বস্তির খবর। তবে এ কারণে আমাদের প্রস্তুতি হালকা করার সুযোগ নেই। রোগী যখন, যে কয়জন পাওয়া যাবে তাদের সুচিকিৎসা দেয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে, থাকবে। কারণ অক্টোবর পর্যন্ত সময়টা মাথায় রাখতে হচ্ছে।’ ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থা ও বাসাবাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে যেসব পদক্ষেপ নেয়া আছে তা বহাল রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি জানান, ‘রোগী কমছে বলে বেশি আশ্বস্ত হয়ে প্রতিরোধের ব্যবস্থা বন্ধ করা যাবে না। তাহলে আবারও বিপদ হতে পারে।’
ঢাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অনেক দিন পরে কিছুটা স্বস্তি লাগছে। কারণ ডেঙ্গু রোগীর চাপ কমে আসছে।’ ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ঈদুল আজহার সময় সারা দেশের হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছিল। কারণ তখন তাদের দম ফেলানোর সুযোগ ছিল না। কয়েক শিফটে কাজ করতে হয়েছে হাসপাতালের কর্মীদের।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের তিন হাজার ৭৪৬ জন রোগী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২১১১ এবং ঢাকার বাইরে ১৬৩৫ জন। সোমবার চিকিৎসাধীন ছিল তিন হাজার ৯৩১ জন। রবিবার যে সংখ্যা চার হাজার ২৫৪ জন। আর শনিবার ছিল চার হাজার ৮৬০ জন। গত শুক্রবার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল চার হাজার ৬৯৭ জন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!