শিরোনাম: বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক কেএনএফ এর ৭ সদস্য কারাগারেঃ রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি কে বহিষ্কার যৌথ বাহিনীর অভিযানঃ তিন উপজেলায় স্থগিত হলো ভোট প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পের আওতায় মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত রুমার দুর্গম মুনলাইপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে এক কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আর দুইজন রিমান্ডে বান্দরবানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধের আহবান জানালো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নেতারা

রাঙ্গামাটিতে ভূষণছড়া গনহত্যা দিবস পালন


প্রকাশের সময় :১ জুন, ২০১৭ ১:০৬ : পূর্বাহ্ণ 510 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-১৯৮৪ সালের ৩১ মে দিবাগত রাতে ৩৮৪ জন বাংলা ভাষাভাষী নিরপরাধ,নির্দোষ,নিরস্ত্র নারী পুরুষ ও শিশুদের রাতের অন্ধকারে ইতিহাসের এক জঘণ্যতম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল সাবেক গেরিলা নেতা সন্তু লারমার নিদের্শে মেজর রাজেশ ওরফে মনিস্বপন দেওয়ান।তারই প্রতিবাদে গতকাল বুধবার (৩১ মে) দুপুরে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা কার্যালয়ে এক শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর আলম মুন্না।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন রাঙ্গামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক জনাব জাহাঙ্গীর কামাল,জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোঃআবু বক্কর ছিদ্দিক,পৌর কমিটির সভাপতি কাজী মোঃজালোয়া,সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলম,পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা সিঃ সহসভাপতি মোঃনজরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃআসাদুজ্জামান খাঁন,সহ-সভাপতি মোঃ বাদশা,যুগ্ম সম্পাদক এহসান উল্লাহ মুন্না,কলেজ সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম,পৌর কমিটির আহবায়ক মোঃআবছার সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।সভায় বক্তারা বলেন-হত্যাকান্ডের ৩৩ বছর অতিবাহিত হলেও খুনিদের বিচার তো দুরের কথা বরং তাদের বিভিন্ন সময়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।বিএনপি খুনি মনিস্বপনকে (মেজর রাজেশ) কে মন্ত্রি বানিয়েছে আর আওয়ামীলীগ সন্তু লারমাকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের রক্তের সাথে বেইমানী করেছে।আমরা তার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলতে চাই-বর্তমান সরকার মানবতা ও স্বাধীনতা বিরোধীদের যেমনি বিচারের আওতায় এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে,আমরা আশা করি তেমনিভাবে ৩০ হাজার বাঙ্গালীর খুনি সন্তু লারমাসহ অন্যান্য অপরাধীদেরকেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার শুরু করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নজির স্থাপন করবে। তিনি আরো বলেন–পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সময়ের দাবী,এসব অবৈধ অস্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরীহ বাঙ্গালী ও উপজাতীয়দের বিরোদ্ধে ব্যবহার করে অপহরন,খুন ও চাঁদাবাজি করছে জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী বাহিনী।বক্তারা আরোও বলেন–পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সকল সরকারী আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানে উপজাতীয় কর্মকর্তা রয়েছে সেখানে বাঙ্গালী কর্মচারীদের হয়রানি করে বদলীর হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে।এমতাবস্থায় সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোড় দাবী জানাচ্ছি।নেতৃবৃন্দ আরো বলেন–পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিদিন জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে প্রসাশনের নাকের ডগায় কিন্তু কোন প্রতিকার হচ্ছে না।এমনকি আম বাগান,আনারস বাগান,ফলজ বাগান,সেগুন বাগান এর চাঁদার টাকা না দিলে লক্ষ লক্ষ আনারসের বাগান,সেগুন বাগান ও ফলের গাছ কেটে ফেলে উল্টো বাঙ্গালীদের মামলা হামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে।এ অবস্থা বেশীদিন চলতে দিলে বাঙ্গালীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতিরা ঘরে বসে থাকবে না,এর বিরোদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!