অন্ধকার থেকে আলোতে আসছে দেশের ৬৮১ কিলোমিটার সড়ক


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২:৫০ : অপরাহ্ণ 545 Views

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল জনরায় নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের চমকপূর্ণ ইশতেহার প্রকাশ করে।
জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জেতার পর একে একে বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে তাদের ইশতেহারের বিভিন্ন ধাপ। এই ধাপের আওতায় রয়েছে দেশের নয়টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ৬৮১ কিলোমিটার রাস্তা নতুন রূপে ঢেলে সাজানো। এই ধাপটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, সড়কগুলো দৃষ্টিনন্দন ও মসৃণের পাশাপাশি ‘অন্ধকার থেকে আলোতে’ আনতে লাইটিং করা হবে। এসব কাজের জন্য ‘টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্স ফর সাব রিজিওনাল রোড ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরি ফ্যাসিলিটি’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। আর এসব সড়কের নকশা করতে পরামর্শক নিয়োগ করা হবে মূলত বাজার, ব্যস্ত সড়কে কি ধরণের লাইটিং এবং স্ট্রিট লাইটিং হবে সে বিষয়ে পরিকল্পনা করার জন্য।
প্রকল্পের আওতায় নয়টি সড়কের নকশা করা হবে। সড়কগুলোর মধ্যে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-কালনা-লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর-বেনাপোল সড়ক অন্যতম। এই সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৩৫ কিলোমিটার। এছাড়া রংপুর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত ১৭২ কি.মি. সাভার নবীনগর থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত ৫৮ কি.মি. রংপুর থেকে মহীপুর-কাকিনা পর্যন্ত ১৯ কি.মি. চট্টগ্রাম বন্দর এক্সেস রুটে ৫৮ কি.মি. সড়কে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
আর নাটোর নবপাড়া হয়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রুটের ১০৫ কি.মি., সিলেট হয়ে সুতারকান্দি রুটের ৪৬ কি.মি. এবং রংপুরের পাগলাপীর হয়ে ডালিয়া-বরখাতা রুটে ৬০ কি.মি. সড়কে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের আওতায় ঢেলে সাজানো হবে ময়মনিসংহের রঘুরামপুর হয়ে নালিতাবাড়ি-নকুগাঁও রুটের ৭২ কি.মি. সড়ক।
জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় নয়টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ডিটেইল্ড নকশা করা হবে। সড়কগুলোর নকশা করতে ৫০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয় হবে। পুরো নকশার কাজ ২০২০ সালের মার্চে শেষ হবে। এরপরই নেওয়া হবে ‘মেগা প্রকল্প’।
যেসব সড়ক ঘিরে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, মূলত এসবের অধিকাংশই থাকে অন্ধকারে। ফলে অনেক সময় ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। সেজন্য দৃষ্টিনন্দন সড়ক অবকাঠামোর জন্য ল্যান্ডস্ক্যাপ অর্কিটেক্ট কাজ করা হবে। সড়কগুলো দৃষ্টিনন্দন ও মসৃণ করতে রোড সেফটি ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ার, হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ার ও ব্রিজ-স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার যৌথভাবে কাজ করবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, সরকারের বহুমাত্রিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার কিছু বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে। বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে দেশের উপ-আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি এবং ডিটেইল্ড ডিজাইনের প্রয়োজন হতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!