সেনাবাহিনী পার্বত্য বান্দরবানের সকল ধর্ম ও সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট ও সৌহার্দ্যপূর্ন পরিবেশ সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।একই সাথে স্থানীয় সকল জাতিগোষ্ঠীর জনসাধারণকে একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী জীবনমান নিশ্চিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করছে এবং সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করছে।বান্দরবান এর সকল ক্রেত্রের উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা বান্দরবানবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করে।আগামীতেও এই অগ্রযাত্রায় সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতা অব্যবহত থাকবে।বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) “আমার দেশ আমার অমার অহংকার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মানবিক সহায়তা ও উপহারের বই বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহম্মেদ।এসময় তিনি বলেন,আজকে আমরা যে সহায়তা দিচ্ছি এর সুফল যাতে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌছে যায় এটাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যাশা।আগামীতেও এমন সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এদিন বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ৫২ জন শিক্ষার্থীকে বই ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেয়।এসময় আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে ১৮টি পাড়া ও সংস্থাকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার অনুদান বিতরন করা হয়।এছাড়াও ৮জন ক্ষতিগ্রস্থ কে ঢেউটিন ও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী এবং ৭জন কে সেলাই মেশিন হস্তান্তর করা হয়।জানা যায়,গত কয়েকদিনে বিভিন্ন অনাথালয় ও এতিমখানায় ১৮৯ জন কে খাদ্য প্রদান করা হয়েছে।একই অনুষ্ঠান এ বিবাহের জন্য উপহার হিসেবে ৭জন মানবিক সহায়তা পেয়েছে।এদিন উন্নত পাঠদান শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে আল-ফারুক ইনস্টিটিউট কে একটি ল্যাপটপ এবং প্রজেক্টর উপহার প্রদান করা হয়।এসময় বান্দরবান সেনা জোন এর উপঅধিনায়ক মেজর মাহমুদুল হাসান,রিজিয়ন এর জিএসও-টু মেজর শায়েখ উজ জামান,জিএসও-ত্রি ক্যাপ্টেন আব্দুল মান্নান সহ সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উপকারভোগী জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত,সাম্প্রতিক সময়কালে ৬৬২ জন শিক্ষার্থীকে একাদশ শ্রেনীর বই এবং দূর্গাপূজায় ১৪৪ পরিবারকে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন।