শিরোনাম: ক্রীড়া উন্নয়ন ফোরামের শুভেচ্ছা উপহার পেলো প্রাথমিক ফুটবলের ক্ষুধে জেলা চ্যাম্পিয়নরা শীতার্থদের মাঝে ত্রিবেণী লেডিস ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরন প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বান্দরবানের প্রাচীন বৌদ্ধ অনাথালয় পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড.এম সাখাওয়াত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বান্দরবানের ম্যারাথন ভিত্তিক প্রথম কমিউনিটি বান্দরবান হিল রানার্স খেলাধূলার পাশাপাশি পড়াশোনার প্রতিও শিক্ষার্থীদের মনযোগী হতে হবেঃ ডিসি শামীম আরা রিনি বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

২১ নভেম্বরঃ সাহস ও গৌরবের সশস্ত্র বাহিনী দিবস


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :২১ নভেম্বর, ২০১৯ ৬:২৪ : অপরাহ্ণ 600 Views

আজ ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সশস্ত্র বাহিনী দিবস। যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হচ্ছে।দিবসটিকে কেন্দ্র করে তিন বাহিনী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়।

সেদিন থেকেই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আগে তিন বাহিনী ভিন্ন ভিন্ন দিনে দিবসটি পালন করত। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিন বাহিনী দিবসটিকে সম্মিলিতভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর থেকেই ২১ নভেম্বরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পেছনে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িয়ে রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করে নেওয়াই এই দিবসের মূল তাৎপর্য।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

যেসকল অনুষ্ঠান পালন করা হয় এই দিনটিতে :
এই দিনটিতে ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত শিখা অনির্বাণে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি শুরু হয়। বিকেলে সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, বিরোধী দলীয় নেতা এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ সংবর্ধনায় সমবেত হন। অন্যান্য সেনানিবাস, নৌ ও বিমানঘাঁটিতে অনুরূপ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ বেতার ও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ‘অনির্বাণ’ নামে সামরিক বাহিনীর নির্মিত বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। দৈনিক সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রধানমন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধান কর্তৃক পুরস্কৃত করা হয়। সকল সেনা ঘাঁটিতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সেনাবিভাগের প্রকাশনা থেকে যুদ্ধ ও সামরিক বাহিনী সম্পর্কীয় বিশেষ নিবন্ধ সহযোগে প্রকাশনা বের করা হয়।

এছাড়াও এই দিবস উপলক্ষে দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।এদিকে, দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ জাহাজ এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনী জাহাজসমূহ ২১ নভেম্বর দুপুর আড়াইটা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
February 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!