২০২০ সালে বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কমেছে, তবে একইসময়ে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত তদন্ত ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া ২০২০ সালে বাংলাদেশে তিনটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলেও কারো মৃত্যু হয়নি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০২০ সালে সন্ত্রাসী তৎপরতা কম ছিল। ওই বছর সন্ত্রাস সম্পর্কিত তদন্ত ও গ্রেফতারের ঘটনাও তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। এ কারণে সন্ত্রাসী তৎপরতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি।
এতে আরো বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশে তিনটি সন্ত্রাসী হামলা হয়। তবে এসব হামলায় কারো মৃত্যু হয়নি। আগের বছরগুলোর মতো এবারো বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশভিত্তিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আইএসআইএস বা একিউআইএসের মতো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
এতে বলা হয়, আইএসসহ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ-ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের অর্থপূর্ণ সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতার একটি চিত্রও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সম্পর্কিত মাত্র ১৫ ভাগ মামলার আসামিরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। সক্ষমতার ঘাটতিতে থাকা বাংলাদেশের বিচার বিভাগে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত অনেক মামলা এক দশকের বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে, যা বৈশ্বিক মহামারিতে আরো দীর্ঘায়িত হয়েছে।
সম্প্রতি র্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরই বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এমন ইতিবাচক তথ্য দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
সন্ত্রাসবাদের প্রতি শূন্য-সহিষ্ণুতা নীতি এবং সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেয়ার কথা অব্যাহতভাবে বলে আসছে বাংলাদেশ সরকার।