শিরোনাম: পর্যটকের মৃত্যুঃ ট্যুর এক্সপার্ট এডমিন বর্ষা ইসলাম বৃষ্টিকে গ্রেফতার ইরান যদি আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায় তাহলে পাল্টা হামলায় তেহরানকে জ্বালিয়ে দেয়া হবেঃ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবেঃ সাচিং প্রু জেরী কাতার রেডক্রস এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায়দের মাঝে মাংস বিতরন করলো বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত কুহালং হেডম্যান পাড়ায় নানা আয়োজনে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস-২৫ পালিত বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন বান্দরবানে ভূমি মেলা-২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

কি বললেন চট্টগ্রামে মাদক ব্যবসার তালিকায় থাকা সেই পাঁচ ওসি


প্রকাশের সময় :২২ মে, ২০১৮ ১০:৫৯ : অপরাহ্ণ 1093 Views

সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-চট্টগ্রামে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ৫ ওসির (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এমন একটি সংবাদ পরিবেশনের পর বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রামে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ৯০ জনের তালিকা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।এর মধ্যে ৪৫ জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। আরো রয়েছে সিএমপি’র সাবেক দুই এবং বর্তমান তিন মোট পাঁচ ওসির (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার) নাম।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন, সম্প্রতি বদলি হওয়া পাহাড়তলী থানার ওসি মো. আলমগীর ও আকবর শাহ থানার আলমগীর মাহমুদ। অন্য তিন ওসি হলেন পাঁচলাইশ থানার মহিউদ্দিন মাহমুদ, পতেঙ্গা থানার আবুল কাসেম ভূঞা ও বন্দর থানার এস এম মাইনুল ইসলাম।সিপ্লাসের পক্ষ থেকে কথা হয় সেই পাঁচ ওসির সাথে। তারা ব্যক্ত করেছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। তবে এসব মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া একান্তই তাদের নিজস্ব। সম্মানিত পাঠকদের সাথে তাদের কোন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা থাকলে মন্তব্যের কলামে লিখতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে বন্দর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এসএম মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘এমন সংবাদ দেখে আমি আশ্চর্য হয়েছি। সারা জীবন আমি মাদককে ঘৃণা করলাম। আর আমাকে জড়ানো হয়েছে এই ঘৃণিত কাজের সাথে। যা অত্যন্ত দু:খের বিষয়। বন্দর থানায় আগে প্রতিদিন মামলা হতো ৭ থেকে ৮টি। আমি যোগদানের পর থেকে প্রতিদিন মামলা হয় গড়ে ২০টির উপরে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মাদক মামলা। কারো কাছে সামান্য মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলেও আমরা তাকে ছাড় দিচ্ছি না। যারা মাদক বেচাকেনা এবং সেবনে কোন সুযোগ পাচ্ছে না, তারাই এ ধরনের অভিযোগ তুলেছেন বলে আমার ধারণা। ব্যক্তিগত ঈর্ষা, স্বার্থ ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। এর নেপথ্যে সরকার এবং পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টাও রয়েছে।’

পাঁচলাইশ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের অভিযুক্ত করে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তা অত্যন্ত বিস্ময়কর। এতে মনে হয় সততা এবং নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তারপরও আমরা বিচলিত নই। কারণ এটি একটি ভিত্তিহীন ও মনগড়া প্রতিবেদন। কারো হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে এমন সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।’

পতেঙ্গা থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আবুল কাসেম ভূঞা বলেন, ‘এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে সব কিছু বেরিয়ে আসবে। পতেঙ্গা থানা মাদক অধ্যুষিত এলাকা নয়। ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিলের ভয়াবহ কোন আগ্রাসন এই এলাকায় নেই। এই এলাকায় নেই মাদকের কোন বড় আখড়া। বড় কোন মাদক ব্যবসায়ীর অবস্থানও এখানে নেই। ছোট খাটো মাদক ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারা সবাই এখন জেলে। তাই পতেঙ্গা থানার কেউ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত উল্লেখ করা একটি হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই নয়। তদন্ত শেষ হোক, তারপর আমরা এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানাবো।’

আকবর শাহ থানা থেকে সম্প্রতি বদলি হওয়া ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আলমগীর মাহমুদ বলেন, ‘আমি আকবর শাহ থানায় ১৭ মাস দায়িত্ব পালন করেছি। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মাদকের বিরুদ্ধে আমার কি ভূমিকা ছিল তার সকল রেকর্ডপত্র সংরক্ষিত রয়েছে। আমরা প্রতিদিন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিপুল পরিমান ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ, গাজা উদ্ধার করে কঠোরভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করেছি। তার বিপরীতে কেউ মাদকের ক্ষেত্রে সহায়তা বা পৃষ্টপোষকতার অভিযোগ তোলার কোন ভিত্তি আছে বলে আমার মনে হয় না। ষড়যন্ত্রমূলক ও ঢালাওভাবে সংবাদ পরিবেশন করে সুনাম ক্ষুন্ন করে আমাকে থামানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

পাহাড়তলি থানার বিদায়ী ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. আলমগীর বলেন, ‘আমি ৮ মাস আগে পাহাড়তলী থানা থেকে বদলি হয়েছি। বর্তমানে ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারে নিয়োজিত। আমি বদলি হওয়ার এতোদিন পর এটা কি ধরনের সংবাদ পরিবেশন করা হল তা আমার বোধগম্য নয়। যারা মাদক ব্যবসার সাথে এবং মাদক সেবনের সাথে জড়িত তারা হয়তো আমার কারণে কোথাও বাধাগ্রস্থ হয়েছে। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মাসুদ-উল-হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, বিগত সময়ে কতিপয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিল। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে। বর্তমানে যারা আছেন তারা সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও উল্লেখিত পাঁচ ওসির ব্যাপারে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।(সিপ্লাস বিডি.নেট)

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!