শিরোনাম: বৈরী আবহাওয়াঃ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনঃ আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ কর্মপরিকল্পনা লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা

পাহাড়িকন্যা খ্যাত বান্দরবানে রয়েছে ঘুরে দেখার অনেক জায়গা


প্রকাশের সময় :৮ এপ্রিল, ২০১৮ ৩:০৫ : অপরাহ্ণ 1000 Views

বান্দরবান অফিসঃ-বান্দরবান জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।বাংলাদেশের সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে বান্দরবান।
বাংলাদেশের পাহাড়িকন্যা খ্যাত বান্দরবানে রয়েছে ঘুরে দেখার অনেক জায়গা।

নীলগিরিঃ-নীলগিরির জন্য বান্দরবানকে বাংলাদেশের দার্জিলিং বলা হয়।জেলা সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের চূড়ায় নীলগিরি অবস্থিত।এযেন সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশের এক অদ্ভুত মিতালি।এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র।বর্ষাকালে এই জায়গা ঘোরার জন্য উপযুক্ত।তবে অন্যান্য সময়েও পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করে থাকেন।শুষ্ক মৌসুমে এখান থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় দেখা যায়।এটি বান্দরবানের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র এবং এটি সেনা তত্ত্বাবধানে পরিচালিত।বান্দরবন থেকে জিপ ভাড়া করে যেতে পারেন নীলগিরি।সাম্প্রতিক সময়ে নীলগিরিতে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো ভাল মানের কটেজ।যেখানে চাইলে আপনি রাতে থাকতে পারবেন।

স্বর্ণমন্দিরঃ-স্বর্ণমন্দির বান্দরবান জেলা শহর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সেরা প্যাগোডা।এটি মহাসুখ মন্দির বা বৌদ্ধ ধাতু জাদী নামেও পরিচিত।যদিও এর নাম স্বর্ণমন্দির এখানে স্বর্ণ নির্মিত কোন দেব-দেবী নেই।দেশ বিদেশ থেকে অনেক বৌদ্ধ ধর্মালম্বী এটি দেখতে এবং প্রার্থনা করতে আসেন।সুউচ্চ পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই প্যাগোডার এখানে একটা ছোট পুকুর আছে।যেটি দেবতা পুকুর নামেও পরিচিত।এই প্যাগোডা থেকে আশেপাশের সৌন্দর্য দেখা যায়।

নীলাচলঃ-প্রায় দুই হাজার ফুট পাহাড়ের উঁচুতে অবস্থান নীলাচলের।শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নীলাচল।বর্তমানে নীলাচলে বেশ কয়েকটি সুন্দর বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছে,যেগুলো পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।ভ্যালেন্টাইন পয়েন্ট,নীহারিকা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ।এখানে রিসোর্টও রয়েছে।রিসোর্টে থাকা অতিথিরা ছাড়া অন্যরা এখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত থাকতে পারেন।এই পাহাড় থেকে এক নজরে দেখা যায় পুরো বান্দরবান শহর।এখান থেকেও সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উপভোগ্য।

শৈল প্রপাতঃ-শৈল প্রপাত বান্দরবান-রুমা সড়কের ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।প্রাকৃতিক এই ঝর্ণা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।এই ঝর্ণার শীতল পানি সবসময়ই বহমান। এই ঝর্ণার পানি অনেক স্বচ্ছ।বছরের প্রায় সবসময় দেশী-বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমণ করেন এই জায়গা। বান্দরবন শহর থেকে জিপ কিংবা প্রাইভেট কার ভাড়া করে শৈল প্রপাত যাওয়া যায়।

এসব জায়গা ঘুরতে হলে আপনাকে প্রথমেই যেতে হবে বান্দরবান।ঢাকা থেকে সরাসরি বাস আছে বান্দরবানের। তাছাড়া চাইলে প্রথমে চট্টগ্রাম গিয়ে সেখান থেকে বান্দরবন যাওয়া যায়।সেক্ষেত্রে বাস কিংবা ট্রেনে করে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে।অনলাইন টিকেট কাটতে পাড়ে সহজ,বাস বিডি ইত্যাদি থেকে।উৎসঃ-(গরম চা)

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!