এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের যতসব ভন্ডামী


প্রকাশের সময় :৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ১:৫৪ : পূর্বাহ্ণ 1078 Views

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্কঃ-সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটির সামাজিক ব্যবস্থাকে পরিবর্তনে কাজ শুরু করেছেন। তাঁর উদ্যোগে নারীদের গাড়ি চালানোর এবং স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অনুমতি দিয়েছে দেশটির রাজতন্ত্র। সিনেমা হলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়ছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন তিনি। আর তেল থেকে নির্ভরতা কমাতে, অর্থনৈতিক সংস্কারে ‘ভিশন ২০৩০’ গ্রহণ করেছেন। এই পরিকল্পনার অধীনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন কর্মকাণ্ড দেশটির তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। কিন্তু যুবরাজের এমন জনপ্রিয়তায় ছায়া ফেলেছে তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপন।

২০১৫ সালে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি প্রাসাদ কেনেন যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। সংবাদ মাধ্যম টাইমসের খবরে বলা হয়, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি। একই বছর ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী কেনেন তিনি। সম্প্রতি ৪৫০ মিলিয়ন ডলারে শিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা একটি ছবি কিনেছেন। আর এ সবই তিনি করেছেন বেনামে।

সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে প্রিন্স ও ব্যবসায়ীসহ প্রায় ২০০ জনকে আটক করে সৌদি সরকার। এটিকে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের চেয়ে ক্ষমতা সংহত করার প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন অনেকে। আর আটকের পর তাদের বিলাসবহুল হোটেলে বন্দী রেখে বিচারের পরিবর্তে তাদের সম্পদ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বাধ্য করা হয়। এটি আইনি শাসনের অনুসরণ নয়, বরং একটি স্বৈরাচারি শাসন ব্যবস্থাকেই সামনে নিয়ে আসে।

তিনি যদি সত্যিই একটি আধুনিক এবং উদার সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে তাঁর উচিত সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী চিন্তক এবং রাজনৈতিক কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাস করছেন,তাদের মুক্তি দেওয়া। এর পরিবর্তে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বরং রাজনৈতিক বিরোধী এবং ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসীদের আটক এবং দমন করছেন। মোহাম্মদ বিন সালমানের উচিত এই ভিন্ন মতাবলম্বী এবং মতাদর্শের রাজনৈতিক কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া এবং তাদের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!