এই মাত্র পাওয়া :

সময় এখন হেলেনাদের,সংবাদকর্মীদের নয়


প্রকাশের সময় :১১ নভেম্বর, ২০১৭ ১২:৪৮ : পূর্বাহ্ণ 904 Views

সিএইচটি টাইমস প্রতিবেদকঃ-বছরের পর বছর সংবাদকর্মীরা মাঠে ময়দানে পেশাদারিত্বের ওপর পরিশ্রম করেন।অক্লান্ত পরিশ্রম করে খবর সংগ্রহ করে।রোদ বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তাদের পেশাদারি কাজ করতে হয়।কিন্তু পেশাদার সংবাদকর্মী হয়েও অনেকের কপালে তথ্য অধিদফরের সই করা অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড জুটেনা।অনেক খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের হোঁচট খেতে হয়।অ্যাসাইনমেন্ট কভার না করেই ফিরে আসতে হয় কিন্তু তাতে কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক উঠেছে, ‘সময় এখন হেলেনাদের,সংবাদকর্মীদের নয়।’ এই বিতর্কের সূচনা ঘটিয়েছেন এফবিসিসিআই পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাস দিয়ে যে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন তাতে সমালোচনার তীর এখন তথ্য অধিদফতরের দিকে।সংবাদকর্মীরা যেখানে দায়িত্ব পালনের জন্য অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পান না সেখানে ব্যবসায়ী ও বিত্তশালী গৃহবধূ হেলেনা জাহাঙ্গীর সেই সোনার হরিণ অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেয়ে গেছেন।তিনি নিজেই জানেন না অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড কি!কি এর কার্যকারিতা।আর সংবাদকর্মীরা জানেন না,তারা যেখানে পান সেখানে হেলানা জাহাঙ্গীর কিভাবে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেয়ে যান? গত বুধবার পোস্ট করা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ছিল এমন—‘সময়ের ও ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘ আট মাস পর এসে কার্ড নিজ হাতে তুলে নিলাম।নিজে না এলে আসলে কোনও কাজ হয় না,সেটাই আজ প্রমাণিত হলো।তবে এখনও এই কার্ডের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমি অবগত নই।কোনও এক শুভাকাঙ্ক্ষী করতে বললো,তাই করলাম।পত্রিকায় প্রতিনিয়ত লেখালেখি করি,বই লিখি। কখনও জানি না কোথায় কী লাগে।কোনটার কী কাজ।আমি ব্যবসায়ী,ব্যবসার কাজ ছাড়া কিছুই বুঝি না।’ এ স্ট্যাটাস দেখে পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে।বছরের পর বছর সাংবাদিকতা করেও তথ্য অধিদফতরের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড না পাওয়া সাংবাদিকরা কমেন্টে জানতে চান,কিভাবে তিনি এই কার্ডধারী হলেন? প্রশ্নের তোপে তিনি নিজের পোস্ট সম্পাদনা করে লিখেছিলেন, ‘সময়ের ও ব্যস্ততার কারণে এক মাস পর এসে কার্ড নিজ হাতে তুলে নিলাম।ভালো লাগলো।খুব গর্ববোধ করছি।’ এরপর সমালোচনার মুখে পড়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার পরে হেলেনা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে পাওয়া অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের ছবিসহ পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু তার আগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন থ্রেডে এখনও চলছে সমলোচনার ঝড়।প্রবীণ সাংবাদিক কাজী আব্দুল হান্নান ফেসবুকে লিখেছেন,স্বাগতম তথ্য মন্ত্রণালয়কে!একজন ব্যবসায়ী ও লেখিকাকে সাংবাদিক হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে অ্যাক্রেডিটেশন দেওয়ার জন্য। সাধুবাদ অবশ্যই তাদের পাওনা।হেলেনার ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে সাংবাদিক খোরশেদ আলম প্রশ্ন করেন,ব্যবসায়ী হয়ে কিভাবে তিনি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেলেন।প্রতিক্রিয়ায় তিনি তখন বলেন,অনলাইনের কোনও বেল (গ্রহণযোগ্যতা) আছে? ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ফেসবুক কমেন্টে লিখেছেন,অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পাওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকের নমুনা যদি এমন হয়,সত্যি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হিসেবে আমি লজ্জিত।হেলেনার অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পাওয়ায় বিষয়ে অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী বলেন,তিনি পত্রিকায় লেখালেখি করেন,লেখালেখিতে জড়িত এবং পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতাও।সেসব কাগজও দিয়েছেন।এরপরও তিনি এ ধরনের পোস্ট কেন দিলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।যেহেতু তার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে আমরা কার্ডপ্রাপ্তির বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখবো।উৎসঃ-(পূর্ব পশ্চিম বিডি.কম)))

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর