শিরোনাম: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে আলেম সমাজের সংবাদ সম্মেলন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস জেলা প্রশাসক মেধাবৃত্তি,বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে সেনা জোনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বান্দরবানে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী ও সুধী সমাবেশে দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তাঃ সুস্থ হয়ে ফিরছে ১১ বছরের জিংক থান ময় বম

নির্মাণের আগেই রাস্তা শেষ…!!!


প্রকাশের সময় :২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১২:৫০ : পূর্বাহ্ণ 611 Views

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ-স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর বান্দরবানের বাস্তবায়নে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা ব্যয়ে এইচবিবি দ্বারা লামামুখ-শিলেরতুয়া সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস.অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি) এর প্রতিনিধি হিসেবে কাজটি করছে মো. জসিম উদ্দিন বান্দরবান।জানা গেছে,গত ৮ এপ্রিল ২০১৭ইং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি এই উন্নয়ন প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর করেন। প্রকল্পেটিতে ৩৩০০ মিটার এইচবিবি কাজ,৮টি ইউ বক্স কালভার্ট,আরসিসি বক্স কালভার্ট ৬টি,এল ও ইউ ড্রেইন (প্রায়) ১ কিলোমিটার ও টু ওয়াল ৫ হাজার ১২৫ মিটার কাজ হবে।প্রকল্পে মোট প্রক্কলিত ব্যয় ২ কোটি ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৭০ টাকা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,প্রকল্পের কাজ পরিকল্পনা মতে সম্পন্ন হয়নি। রাস্তার কালভার্ট,গাইড ওয়াল,ড্রেইন গুলো না করে আগে এইচবিবি কাজ করায় বর্ষার পানিতে অধিকাংশ সড়ক ভেঙ্গে ও ধসে গেছে। নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই নষ্ট হয়ে গেছে রাস্তার অধিকাংশ উন্নয়ন কাজ।স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম,আবু তাহের,সাইফুল ইসলাম সহ অনেকে বলেন,আশপাশের জমিন ও পাহাড়ের বালু মাটি দিয়ে হয়েছে কালভার্ট ও ড্রেনের কাজ। কাজের আগে ও পরে নিয়ম মেনে পানি না দেয়ায় ইতিমধ্যে অনেকস্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।রাস্তার কাজে বে-নাম্বারী ইট ব্যবহার করা হয়েছে।এছাড়া রাস্তার পাশের ড্রেইন ও কালভার্ট গুলো নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী।পুকুরিয়া খোলা ও হৃদয় মাষ্টার পাড়ার মিলন বড়–য়া,বিভূষণ বড়–য়া,সম্ভু বড়–য়া জানান,অধিকাংশ রাস্তা ভেঙ্গে গেছে।ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে বললে তারা বলেন,নতুন করে আবার বরাদ্দ আসলে তখন ঠিক করে দেযা হবে।একেবারে যেনতেন করেই লেপসেপ দিয়ে কাজটি করা হয়েছে।কাজ শেষ না হওয়ার আগেই রাস্তা ভেঙ্গে গেছে।টেকসই হওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা।এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস.অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি) এর পক্ষে মো.জসিম উদ্দিন বলেন,আগে রাস্তার কাজ করায় বর্ষার পানিতে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। আমরা এখন কালভার্ট ও ড্রেনের কাজ করছি।তারপরে নষ্ট হওয়া রাস্তা মেরামত করে দেয়া হবে।নি¤œমানের কাজের বিষয়ে লামা উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন,শতভাগ কাজ বুঝে নিয়ে বিল দেয়া হবে।নষ্ট কাজের মেরামত করে না দিলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কোন প্রকার বিল প্রদান করা হবেনা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!