

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।তাঁর এই প্রত্যাবর্তন শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে ফেরা নয় বরং বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছে বিএনপি। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে নেতাকর্মী-সমর্থকের ঢল নামাতে বড় প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।জনসমাগমের দিক দিয়ে অতীতের সব রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের রেকর্ড ভাঙার প্রত্যাশা করছেন বিএনপি নেতারা।বিএনপি নেতাদের দাবি,তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে যে উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে,তাতে উপস্থিতির দিক দিয়ে অতীতের সব আয়োজন ছাড়িয়ে যাবে। নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এই গণসংবর্ধনায় অংশ নেন।ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন।স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান কয়েকবার দেশে এলেও তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেননি।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর কুড়িলের ৩০০ ফুট এলাকায় গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে দলটি।পুরো আয়োজন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে কাজ করছেন নেতাকর্মীরা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে দলের পাশাপাশি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন,সংবর্ধনায় অন্তত ৫০ লাখ মানুষের উপস্থিতির প্রত্যাশার কথা জানায় বিএনপি এর শীর্ষ নেতারা। বিশেষ করে সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের শক্তি দেখানোর লক্ষ্যও রয়েছে এই আয়োজনের পেছনে।গতকাল মঙ্গলবার গণসংবর্ধনা মঞ্চ পরিদর্শন শেষে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,আশা করছি, অর্ধকোটি মানুষের উপস্থিতি হবে।এরই মধ্যে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মী ঢাকা আসতে শুরু করেছেন।দলের শীর্ষ নেতারা তারেক রহমানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।







