

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা (অব.) সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন, রয়েল ডেনিশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মোলার (ক্রিস) এবং ডেনমার্ক দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ও হেড অফ পলিটিক্স ওল্লে লানডিন।রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন,শিক্ষা,জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বহুমাত্রিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বৈঠকে বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই উন্নয়নের জন্য কোয়ালিটি এডুকেশন, স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং কৃষি খাতের আধুনিকায়ন অপরিহার্য।” তিনি জানান, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০০টি স্কুলে স্টারলিংক ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল কার্যক্রম চালু হচ্ছে।এছাড়া স্থানীয় ভাষা সংরক্ষণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাষাভিত্তিক বই মুদ্রণ এবং ভাষা শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।কাপ্তাই লেকের যথাযথ ব্যবহার,লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট,পরিবেশ সহায়ক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পানির দুষ্প্রাপ্যতা নিরসনকেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ বলে তুলে ধরেন।নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়।তিনি পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রয়েল ডেনিশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মোলার (ক্রিস) এবং ডেনমার্ক দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ও হেড অফ পলিটিক্স,ওল্লে লানডিনও একই মনোভাব প্রকাশ করেন।বৈঠকে কূটনীতিকরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গেও মতামত ব্যক্ত করেন। তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অতুল সরকার, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান এবং সিনিয়র সহকারী সচিব শুভাশীষ চাকমা।