

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় এক খিয়াং নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ৩টায় পৌর বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ খিয়াং কল্যাণ সংস্থা,বাংলাদেশ খিয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন,খিয়াং স্টুডেন্ট ফোরাম,বান্দরবানস্থ আদিবাসী ছাত্র সমাজ,উইমেন রিসোর্স নেটওয়ার্ক,সিএইচটি ওমেন নেটওয়ার্ক,উইমেন এক্টিভিষ্ট ফোরাম,দূর্বার নেটওয়ার্ক ও সুজন বান্দরবান জেলার আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্যে রাখেন দূর্বার নেটওয়ার্ক ও সুজন বান্দরবান জেলার সভাপতি ডনাই প্রু নেলী,মানবাধিকার কর্মী লেলুং খুমী, আইনজীবী উম্যা সিং মারমা,মানবাধিকার কর্মী অংচমং মারমা, নারী যোগাযোগ কেন্দ্রের আহবায়ক পারমিতা চাকমা,নারী নেত্রী য়ইসা প্রু মারমা,সাংমা প্রু খিয়াং সহ বিভিন্ন নারী সংগঠন ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন,আমরা আর ধর্ষণ ও হত্যা চাইনা, আমরা চাই সুস্থ ও স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে। ধর্ষনকারীরার দেশ ও সমাজের শত্রু আর তাদের ক্ষমা নাই। এসময় বক্তারা আরো বলেন,থানচি উপজেলায় এক খিয়াং নারীকে নির্মমভাবে হত্যা আমাদের আতংক বাড়িয়ে দেয়, আর আমরা এই আতংক নিয়ে বসবাস করতে চাই না। এসময় বক্তারা দ্রুত খিয়াং নারীকে হত্যার রহস্য ও এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত: ৫মে (সোমবার) সকালে বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের একটি গহীন জঙ্গলে চিংমা খেয়াং নামে এক নারী জুম চাষের জন্য পাহাড়ে যায়,কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় স্থানীয়রা তাকে খুঁজতে বের হন।খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা জঙ্গলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পায় এবং তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়। এই ঘটনায় স্থানীয়রা ধারণা করছে চিংমা খেয়াংকে কেউ ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।এদিকে এই ঘটনার পর তার স্বামী বাদী হয়ে থানচি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।