এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

এক স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তে অন্য স্কুলের সহকারী শিক্ষক;হতাশ ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী


প্রকাশের সময় :৬ আগস্ট, ২০১৭ ১১:৫৫ : অপরাহ্ণ 678 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-এক স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পাঠদানে ব্যাপক অনিয়ম,অর্থ আত্নসাৎ ও গোপনে মনগড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষা থেকে শিশুদের বঞ্চিত করায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েছে উপজেলার অন্য স্কুলের একজন সহকারি শিক্ষক।বান্দরবানের লামা উপজেলার ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ত্রিশডেবা পাড়ায় অবস্থিত রামথুই পাড়া সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল শনিবার এমন ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।তারা বলেছে,১৭ জূলাই লিখিত অভিযোগের পর এলাকাবাসীকে কোন খবর না দিয়েই গতকাল লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র মোহন মন্ডল ছাগলখাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক থোয়াইনু মারমাকে নিয়ে তদন্ত করতে যান। বিক্ষুদ্ধ মহিলা অভিভাবকরা জড়ো হয়ে শিক্ষা অফিসারকে অভিযোগ জানাতে গেলে নিজেকে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি ও প্রধান শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থোয়াইনু মারমা অনেকক্ষণ বিতর্ক ও বিবাদে জড়িয়েছে। তার মতে,অভিযোগ করে এলাকাবাসী নাকি অতিগর্হিত কাজ করেছে। স্কুল সংস্কারের টাকা আত্নসাৎ করার প্রসঙ্গ তুললে ‘ইউ.এন.ও’র অফিসে যেখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা উদাও হয়ে যায়,সেখানে স্কুলের ৪০ হাজার টাকা তো কিছুই না’ বলে তিনি এলাকাবাসীর সামনে বক্তব্য দেন।থোয়াইনু মারমা অভিযু্ক্ত প্রধান শিক্ষক মংয়ই থিং মারমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেই এলাকায় পরিচিত,যিনি স্থানীয় বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পক্ষে বিভিন্ন জায়াগায় তদবির করছেন এবং অভিযোগকারীদের সাথে বিতর্কে জড়িয়েছেন।সেই সহকারি শিক্ষককেই সাথে নিয়ে শিক্ষা অফিসার তদন্ত করতে আসায় এবং শিক্ষা অফিসার পরিষ্কার কোন বক্তব্য ছাড়াই সাদা কাগজে নিরক্ষর গ্রামবাসীর স্বাক্ষর আদায় করার চেষ্টা করায় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং তদন্তের সচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।ত্রিশডেবা পাড়ার বাসিন্দা মংখিং মারমা বলেন “শিক্ষা অফিসারকে গ্রামের অর্ধশত মহিলা-পুরুষ মিলে সব অভিযোগরে কথা সরাসরি জানিয়েছি।কিন্তু থোয়াইনু মাস্টারের বাহদুরি এবং অতিউৎসাহী ও বাড়াড়ম্বর বক্তব্যে শিক্ষা অফিসার কোন পরিষ্কার অভিমত জানানোর সময় পাননি। তাই এ তদন্তে যথেষ্ঠ সন্দেহের অবকাশ আছে এবং আগামি ৫দিনের মধ্যে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আমরা গ্রামবাসীরা মিলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে প্রতিকার চাইব।” ঘটনার সত্যটা যাচাই করতে লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!