শিরোনাম: বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনঃ আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ কর্মপরিকল্পনা লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক

বিজিবির সাড়াশি অভিযানে সন্তুষ্ট মানুষঃ ৬০ বার্মিজ গরু আটক


আবুল বশর নয়ন (বান্দরবান) প্রকাশের সময় :২০ মার্চ, ২০২৩ ১২:০৩ : পূর্বাহ্ণ 115 Views

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে অবৈধভাবে পাচার করে আনা বার্মিজ গরুর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে নেমেছে সীমান্তরক্ষি বাহিনী বিজিবি। এক সপ্তায় নাইক্ষ্যংছড়ি ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যাক গরু আটক করা হয়।সাড়াশি অভিযানের ফলে গরু পাচার অবশেষে কমতে শুরু করেছে।সর্বশেষ রবিবার নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে যৌথ অভিযানে ৬০টি বার্মিজ গরু আটক করা হয়েছে।এসব গরু নাইক্ষ্যংছড়ি সীমানা এলাকা থেকে এনে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাজিরপাড়া, পূর্ব হাজিরপাড়াসহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় পাচারের জন্য মজুদ করেছিল চোরাকারবারীরা।খবর পেয়ে ১১ বিজিবির নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব গরু আটক করা হয়। অভিযানের সময় চোরাকারবারীরা গা ঢাকা দেয়।

রবিবার (১৯মার্চ) বিকেলে যৌথ অভিযানে অংশ নেন নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল রেজাউল করিম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুম বিল্লাহসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।এদিকে বিজিবির সাড়াশি অভিযানে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন দেশীয় খামারীরা।তাদের মতে,মায়ানমারের অবৈধ গরু আসার কারনে তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল।পাশাপাশি সরকারও লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।অভিযানের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দাবী জানান তারা।স্থানীয়দের অভিযোগ,মায়ানমার থেকে গরু আসার পর থেকে প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে খামারের অনুমোদন নেওয়ার হিড়িক পড়ে। মূলত চোরাকারবারীরা মায়ানমারের অবৈধ গরুগুলো বৈধ করার জন্য এসব খামারের অনুমোদন নেওয়া হয়।লোক দেখানো ৪-৫টি দেশীয় গরু এসব খামারে রাখলেও মূলত রাতের আধারে এসব খামার বার্মিজ গরু রেখে পূর্ণ করা হয়। অন্যদিকে খামারে মজুদ রাখা গরুর জন্য আগাম রশিদ সরবরাহ করে থাকে বাজার ইজারাদাররা।

স্থানীয়রা জানান,মায়ানমার থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকায় কিনে আনা এসব গরু বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।যারকারনে নাইক্ষ্যংছড়ি, গর্জনিয়া,কচ্ছপিয়া,বাইশারী,সোনাইছড়ি ও ঘুমধুম এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা একাকার হয়ে চোরাই গরু বানিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।এতে করে দেশীয় খামারীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যদিওবা সীমান্ত রক্ষি বাহিনী বিভিন্ন বিভিন্ন সময় অভিযান চালে আটক করা গরু থেকে বিপুল সংখ্যাক রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা ককরেছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!