এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

মায়া হচ্ছিল,বিয়ে বন্ধ করে দায়িত্ব নিলামঃ ইউএনও,ডিমলা উপজেলা


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ অক্টোবর, ২০২২ ৭:৪৯ : অপরাহ্ণ 451 Views

মায়া হচ্ছিল,বিয়ে বন্ধ করে দায়িত্ব নিয়েছি
নীলফামারী ডিমলা ঝুনাগাছ চাপানির সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ঝড়না আক্তার (ছদ্মনাম)। সোমবার (১০ অক্টোবর) ধুমধাম করে তার চলছিল বাল্যবিয়ের আয়োজন।খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।প্রশাসনের উপস্থিতিতে যেখানে সৃষ্টি হওয়ার কথা আতঙ্ক,তার বদলে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে এক আবেগঘন পরিবেশের৷বাবা মাকে বাল্য বিবাহের কুফল বুঝিয়ে ১৮ বছর পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীর পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।তারাও অঙ্গিকার করেছেন বিয়ে না দেওয়ার।

স্থানীয়রা জানায়,প্রশাসনের উপস্থিতিতে দাওয়াতে আসা লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান।পরে ইউএনও ওই মেয়ের পরিবার ও স্বজনের ডেকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বলেন পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে বিয়ে দেওয়া যাবে না এমন শর্তে মুচলেকা নিয়ে বিয়েটি বন্ধ করেন।পরে মেয়েটির পড়াশুনার দায়িত্ব নেন তিনি।ইউএনও মহাদয়ের মহৎ এমন কাজে খুশি তারা।

স্থানীয় শিক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন,এত ছোট বাচ্চার বিয়ে দেওয়াটা উচিত নয়।তবে পরিবার, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও অভাব অনটনের কথা চিন্তা করে বিবাহ দিতে বাধ্য হয়।তবে ইউএনও মহাদয়ের এই মহৎ কাজ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল এলাকাবাসীর কাছে।

সমাজকর্মী সিয়াম হোসেন বলেন,আমরা সব সময় চেষ্টা করি বাল্যবিবাহ রোধ করতে।তবে বেশিরভাগ সময় প্রশাসনকে আইন প্রয়োগ করতে দেখলেও। বেলায়েত স্যারের এমন কাজে অনুপ্রাণিত হয়েছি। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ও নিজেরাও যেন এমন সিদ্ধান্ত নেই সে বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন,বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাচ্চাটিকে দেখে আমার খুব মায়া হচ্ছিল। এতো কম বয়সী একটা মেয়েকে পুরো একটা পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে, এই ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছিলো।আমি তার পরিবার ও স্বজনদের সাথে কথা বলি,১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত তার লেখাপড়া ও সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছি।তারাও অঙ্গীকার করেছে ১৮ বছর বয়স না হলে তার বিয়ে দিবেন না।

তিনি আরও বলেন,পেশাগত কারণে যেখানেই থাকি তার পরিবারের সাথে আমার যোগাযোগ থাকবে সব সময়েই।আসলে কাজটা আমি বিবেকের তাড়নায় করেছি।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!