শিরোনাম: বৈরী আবহাওয়াঃ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনঃ আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ কর্মপরিকল্পনা লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা

চট্টগ্রামের টাইগার পাস ছিনতাইকারীর অভায়ারন্য,এবার দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের স্বীকার বেসরকারি নারী ব্যাংক কর্মকর্তা


প্রকাশের সময় :৯ জুলাই, ২০১৭ ১১:১৮ : অপরাহ্ণ 1282 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এর ব্যাস্ত সড়ক টাইগার পাস গোলচত্বরের একশো গজ আগে দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন বেসরকারি মেঘনা ব্যাংক এর উচ্চপদস্থ নারী কর্মকর্তা নার্গিস আলম খান।গতকাল (৮ জুলাই) রাত এগারোটা চল্লিশ মিনিটে তিনি ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন।এবিষয়ে জানা যায় গতকাল দিবাগত রাত এগারোটায় জি.ই.সি তে বসবাসরত এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে রিক্সাযোগে নার্গিস দম্পতি নিজ বাসা দেওয়ানহাটে ফিরছিলেন।লালখান বাজার ফেলে টাইগার পাসের একশো গজ বাকী তন্মধ্যেই পেছন থেকে একটি সবুজ সিএনজি রিক্সার ডানপাশে বসে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তা নার্গিস আলম এর হাত ব্যাগ চোখের পলকেই ঝাপটা মেরে টান দিয়ে সোজা দ্রুতগতি নিয়ে চলে যায়।রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো না থাকায় সিএনজি গাড়ির নাম্বার সংগ্রহ করা যায়নি।ঘটনার সাথে সাথে নার্গিস আলম এর ব্যাগে থাকা মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।পরবর্তীতে ব্যাগে থাকা মেঘনা ব্যাংক,ব্র্যাক ব্যাংক ও সাউথ ইষ্ট ব্যাংক এর এটিএম কার্ড গুলো সংশ্লিষ্ট অফিসে ফোন করে তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেয়ার অনুরোধ জানানো হলে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।পরবর্তীতে প্রথমে ছিনতাইয়ের স্বীকার ব্যাংক কর্মকর্তার নিজ বাসার এলাকাভুক্ত ডবলমুরিং থানায় জি.ডি করতে গেলে সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ঘটনার স্পট বিবেচনায় নিয়ে কোতয়ালী থানায় জি.ডি করতে বলেন।এরপরই নার্গিস দম্পতি কোতয়ালী থানায় যান এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ.এস.আই দিদার এর আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে ঘটনার বিশদ বিবরনের প্রেক্ষিতে জি.ডি নথিভুক্ত করেন।কোতয়ালী থানায় করা জিডি নাম্বার ৬৬৫ এবং জিডি তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে এ.এস.আই অনুপ কুমার বিশ্বাস কে নিয়োগ করা হয়।এবিষয়ে অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন চট্রগ্রাম শহরে আমার জানামতে আমি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম শহরে কর্মরত,আমার থানা এলাকায় যারা এই ধরনের কাজগুলো করে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি তারা মুলত হালিশহর পাহাড়তলীর কিছু লোক।রমজানের আগে আমরা এই পুরো চক্রটি কে আইনের আওতায় এনেছিলাম।যাদের ছবি আমার কাছে সংরক্ষণ করা আছে।কিন্তু এরা যে ঈদের আগে কিংবা ঈদের পরপরই জামিনে বের হয়ে আসছে এটা আমরা খেয়াল করিনি।রমজানের শুরু থেকে গত পরশুদিন পর্যন্ত গত দেড়মাসে সিএনজি দিয়ে রিক্সা কিংবা হেটে যাওয়া পথযাত্রী এইরকম ছিনতাইয়ের কবলে পরছেন বলে আমরা জানি না।এমনকি আমার থানায় এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি এমনকি জিডিও নথিভুক্ত হয়নি।কিন্তু গত দেড় মাসে সিএনজি দিয়ে ঝাপটা মেরে ব্যাগ ছিনতাইয়ের কোনও খবর আমরা পাইনি।আপনি যেহেতু আমাকে ফোন দিয়ে উক্ত বিষয়টি জানালেন তাতে মনে হচ্ছে এরা আবার কিছু কিছু বের হইছে এবং আমাদের নতুন করে চক্রটিকে ধরার জন্য কাজ করতে হবে।এসময় তিনি সিএইচটি টাইমস ডটকমকে বলেন, আইনের ফাকফোকর দিয়ে তাঁরা বের হয়ে এসে পুনরায় এই কাজে ফিরে যায়।তবে আমি ভুক্তভোগীর আই.এম.ই নাম্বার দিয়ে ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করতে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।জিডি প্রসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেছেন ছিনতাইয়ের স্বীকার ভুক্তভোগীর তথ্যগত সহায়তা নিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ছিনতাইকারীর অবস্থান শনাক্ত করতে আমরা জোর প্রচেষ্টা শুরু করেছি।।উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার স্বীকার ব্যাংক কর্মকর্তা নার্গিস আলম সিএইচটি টাইমস ডটকমকে জানান,ছিনতাইকারী আমার ব্যাগ ছিনতাই করেছে তাতে আমার দুঃখ নেই।কিন্তু আমার জরুরী কাগজপত্র,এটিএম কার্ড সহ মোবাইল ফোন নাম্বার গুলো হারিয়ে কষ্ট পাচ্ছি।ভুক্তভোগী হিসেবে আমার মনের অবস্থা এখন ভালো নেই।পুলিশ প্রশাসন যদি তৎপর হয়ে এই ছিনতাই চক্রকে চিহ্নিত করতে পারে তবেই কিছুটা শান্তি পাবো।বর্তমান সময়ের এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে পুলিশ প্রশাসন চাইলে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাই চক্রের অবস্থান খুজেঁ বের করতে পারে।সিএইচটি টাইমস ডটকম এর ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা গেছে লালখান বাজার থেকে টাইগার পাস গোলচত্বরের মদ্ধবর্তী নির্জন রাস্তাটিতে গত দুই মাসে বেশকিছু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।কেউ থানায় যায় আবার কেউ কেউ যায়না গিয়ে কি হবে চিন্তা করে।কিন্তু বরাবরই ছিনতাইকারী চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়।২নং গেইট,আলমাস,ওয়াসা,লালখান বাজার এবং টাইগার পাস সংলগ্ন সড়কের আশেপাশে নিয়মিত টহল পুলিশের অবস্থান দেখা গেলেও উক্ত সড়কটি ছিনতাইকারী সদস্যদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে এবং এ নিয়ে জনমনে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।দেওয়ানহাট,লালখান বাজার,টাইগার পাস গোলচত্বরের আশেপাশে বসবাসরত নগরবাসী এবং নিয়মিত যাতায়াত করে এমন নাগরিকরা ছিনতাইকারীর অভয়ারণ্যে পরিণত হওয়া নির্জন সড়কটিকে কড়া পুলিশী নিরাপত্তার আওতায় আনার আহবান জানিয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!