এই মাত্র পাওয়া :

নতুন ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা কুহালং এর সেই বুড়ি মা


আকাশ মারমা মংসিং (নিজস্ব সংবাদদাতা) বান্দরবান প্রকাশের সময় :২১ জানুয়ারি, ২০২২ ৮:১৫ : অপরাহ্ণ 397 Views

দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। যার অর্থ একতাই বল। এমন প্রবাদ বাক্যটি বাস্তবে রূপ নিয়েছেন বান্দরবানে ।এই যেন ভিন্ন ধরণে মানবতা সেবা উদ্যোগ।

সুত্রে জানা যায়, গেল বছরে ২৫ তারিখে সাঅং মারমা নামে এক সমাজ সেবক গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন (গ্রাউস) প্রজেক্টের নিয়মিত কর্মী ফিল্ড কাজে আসলে তার নজরে পড়ে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে বুড়ি মায়ের কষ্টের কাঁঠা জীবন। এতে ১ তারিখে নিজ উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করলে কয়েকদিনের ভাইরাল সৃষ্টি হয়। তারপর বিভিন্ন মহল থেকে অর্থ আসতেই থাকে। এক সময়ে একটি নতুন টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করে দেয় সাঅং সহ কয়েজজন যুবক। ১৫ তারিখে বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করলে এক সপ্তাহ ব্যবধানে বুড়ি মাকে নতুন ঘর বুঝিয়ে দেন যুবসমাজরা। এতে খুশী ও আত্নহারা বুড়ি মা। গ্রামবাসীও উদ্যক্তাদেরকে সাধুবাদ জানান।

২১ জানুয়ারী শুক্রবার সদর উপজেলা ২নং কুহালং ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের বটতলী পাড়া গ্রামের স্যানাপ্রু মারমা (৮০) বৃদ্ধ মহিলাকে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়।

বটতলী বাঘমারা গ্রামবাসী উসানু মার্মা জ্যকশন বলেন, বহুদিন যাবৎ বৃদ্ধ মহিলা বাড়িটি ভাঙ্গা অবস্থা পড়ে ছিল। আমরা কয়েজন বন্ধু মিলে বুড়ি মায়ের করুণ অবস্থা দেখে উদ্যােগ নিতে শুরু করি। আজ ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকভাবে বুড়ি মা নিকট নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রামবাসী শৈমংসিং মারমা বলেন, অবেকদিন ধরে ভাঙ্গা ঘরে পড়েছিল। আজ যুবসমাজের উদ্যগে বুড়ি মাকে নতুন ঘর হস্তান্তর করেছে। এলাকাবাসী পক্ষ থেকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বান্দরবান যুবলীগে উপ- প্রচার সম্পাদক রানা বলেন, বুড়ি মা নতুন ঘরের জন্য সামাজিক যোগাযোগ দেখলে আমরা এগিয়ে আসি। বুড়ি মা জন্য চাউল কাপর দেওয়া হয়েছে। আগামীতে বুড়ি মা কোন কিছু প্রয়োজন হলে আমরা সবাই এগিয়ে আসব। সেই সাথে উদ্যক্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রধান উদ্যোক্তা সা অং মারমা বলেন, অফিসে কাজে ফিল্ড ঘুরার সময় বৃদ্ধ মহিলা ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়া অবস্থায় দেখতে পায়। বৃদ্ধ মহিলাটি করুণ এই অবস্থায় দেখে আমি উদ্যেগ নিয়েছি। পরে সামাজিক যোগাযোগে প্রকাশিত করলে এগিয়ে আসে অনেকে। তাদের সাহায্য আজ বৃদ্ধ মহিলাটিকে নতুন ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য নতুন ঘর, কাপড়, চাউল, কম্বল সহ প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া হয়েছে ।

উপকারভোগী বৃদ্ধ স্যামাপ্রু মারমা (৮০) বলেন, আমার রক্তে সম্পর্কে আপন বলতেই কেউ নাই। এই দু:খের ভরা জীবন দেখে কয়েকজন সমাজ সেবক আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। যারা আমাকে সহযোগীতা হাত বাড়িয়েছেন তাদের সকলকেই কৃতজ্ঞতা ও আশির্বাদ করি।

বান্দরবান কুহালং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সানুপ্রু বলেন, বৃদ্ধ মহিলাটিকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যথাযথভাবে সহযোগীতা করা হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর