শিরোনাম: বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাচনঃ আলোচনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ কর্মপরিকল্পনা লামা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত শতশত বসতবাড়ি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারিঃ উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠ ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা কুকি-চিনের দুই সশস্ত্র সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বান্দরবানে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাড়াতে চালু হলো হেল্প ডেস্ক

খালেদা জিয়া জনগণের পার্লামেন্টে খুনিদের বসায়


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৩:১৪ : অপরাহ্ণ 233 Views

খালেদা জিয়া জনগণের পার্লামেন্টে খুনিদের বসায় বলে সংসদে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদেরকে জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি দিয়ে, বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। খালেদা জিয়া তার থেকে আরও একধাপ উপরে যেয়ে জনগণের পার্লামেন্টে একজন খুনিকে এনে বসায়। বুধবার (১ সেপ্টম্বর) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে অধ্যাপক আলী আশরাফের মৃত্যুতে আনিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

পরে অধ্যাপক আলী আশরাফের মৃত্যুতে আনিত শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে জানান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংসদে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফকে হারিয়ে দেশ একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে হারিয়েছে। কিস্তু দুভার্গ্যের বিষয় হলো তিনি যে এলাকা থেকে নির্বাচন করতেন সেই চান্দিনা এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি কর্ণেল রশীদের বাড়ি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে একটা নির্বাচন হয়, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে যে নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচনে দেশের সকল রাজনৈতিক দল বয়কট করেছিল। একটা ভোটারবিহীন নির্বাচন। সারা বাংলাদেশে সেনাবাহিনী নামিয়ে দিয়ে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে সেই নির্বাচনটা করা হয়। সেই নির্বাচনে ওই চান্দিনা থেকে কর্ণেল রশীদকে সংসদ সদস্য করে সংসদে নিয়ে আসে এবং বিরোধী দলের নেতার আসনে বসান খালেদা জিয়া। দুইজনকে সংসদে এনেছিলেন। একজন হচ্ছে মেজর হুদা, তাকে চুয়াডাঙ্গা থেকে, আর চান্দিনা থেকে কর্ণেল রশীদকে।

সংসদ নেতা আরও অধ্যাপক আলী আশরাফ সম্পর্কে বলেন, ৭ম সংসদে তিনি (আলী আশরাফ) ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে কখনো সভাপতি কখনো সদস্য হিসেবে অত্যান্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। উনার সাথে আমার দেখা হয়েছিল ‘৭৫ এর পর, যখন আমি ১৯৮০ সালে লন্ডনে। তিনি সব সময় ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের যেমন প্রতিবাদও করেছেন আবার ৩ নভেম্বর যে হত্যাকাণ্ড তার বিরোধীতা করেছে আর সেখানে তিনি সাক্ষীও দিয়েছেন খুনিদের বিরুদ্ধে।

প্রয়াত আলী আশরাফের ওপর আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করীম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের, মশিউর রহমান রাঙা, কাজী ফিরোজ রশীদ প্রমুখ। তারা অধ্যাপক আলী আশরাফের জীবন ও কর্মের ওপর স্মৃতিচারণ করেন। এর ফরে শোক প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে গৃহিত হয়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!