এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

বোমাং রাজবিহারের দশম রাজগুরু কেটু মহাথেরের অভিষেক


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ জুলাই, ২০২১ ৮:০০ : অপরাহ্ণ 351 Views

বান্দরবানে বোমাং রাজবিহারের দশম রাজগুরু ভান্তে বা বিহারাধ্যক্ষ হলেন কেটু মহাথের।বুধবার (২১ জুলাই) তাঁকে রাজগুরু হিসেবে অভিষিক্ত করেছেন বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী।কেটু মহাথের বোমাং সার্কেল বান্দরবানের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় বিহারের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

বুধবার সকাল ৯টায় বোমাং রাজবিহারে রাজগুরুর অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। উপস্থিত ছিলেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মং এ প্রু চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমাসহ রাজপরিবারের সদস্যরা।করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাজবিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মং এ প্রু চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কে এস মং মারমা জানিয়েছেন,গত বছরের ১১ জুলাই নবম রাজগুরুর প্রয়াণের পর রাজগুরুর পদটি শূন্য হয়।এটি পূরণের জন্য পরিচালনা কমিটি আলোচনা করে হাংসামাপাড়া বিহারের বিরাধ্যক্ষকে রাজগুরু হিসেবে মনোনীত করে রাজার কাছে সুপারিশ করেন।

কেটু মহাথের ১৯৬৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর থানচি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।১৯৮৯ সালে উপসম্পদান গ্রহণ করে ভিক্ষু হন।বাংলাদেশে পড়াশোনা শেষে মিয়ানমারে বুদ্ধ দর্শনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এর আগে কেটু মহাথের জেলা শহরতলির হাংসামাপাড়া বিহারে বিহারাধ্যক্ষ ছিলেন বলে পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন।

অভিষেক অনুষ্ঠানে বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী বলেন, ‘দশম রাজগুরু হিসেবে কেটু মহাথেরের হাতে রাজবিহারের চাবি তুলে দিতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি।’ প্রধান অতিথি বীর বাহাদুর উশৈসিং ফুলের তোড়া দিয়ে দশম রাজগুরু ভান্তেকে বরণ করেন।

বোমাং রাজপরিবার ১৮০৪ সালে বর্তমান বান্দরবান জেলা শহরে রাজবিহারটি প্রতিষ্ঠিত করে। এটি বোমাং সার্কেলে বা বান্দরবানের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় বিহার হিসেবে পরিচিত। এ বিহারের অষ্টম রাজগুরু উপঞা জোত মহাথের বা উচহ্লা ভান্তে গত বছরের ১৩ এপ্রিল মারা যান। এরপর জ্ঞানপ্রিয় মহাথের নবম রাজগুরু হিসেবে অধিষ্ঠিত হওয়ার দুই মাস পর মারা যান। তখন থেকে বিহারাধ্যক্ষ বা রাজগুরু পদটি শূন্য ছিল।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!