সাশ্রয়ী অক্সিজেন জেনারেটর উদ্ভাবন করল ঈশ্বরদীর স্কুলছাত্র তারিফ


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ জুলাই, ২০২১ ৩:৪৯ : অপরাহ্ণ 157 Views

‘অক্সিজেনের অভাবে মানুষ কীভাবে মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করে, আমার বাবার মৃত্যু দেখে তা অনুভব করেছি। শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাবা আব্দুস সালাম গত বছরের ২ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান। অক্সিজেনের অভাবে কাউকে যেন এভাবে মৃত্যুবরণ করতে না হয় এই সংকল্প নিয়ে কাজ শুরু করি।’ নিজের উদ্ভাবিত অক্সিজেন জেনারেটর ও কনসেনট্রেটর প্রদর্শনের সময় ঈশ্বরদীর এসএম মডেল সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র তাহের মাহমুদ তারিফ এ কথা বলেছে।

তারিফ জানায়, সাধারণত প্রতি মিনিটে ১০-১৫ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করে এমন অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের দাম ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি জেনারেটরের মাধ্যমে বাতাস গ্রহণ করে প্রতি মিনিটে ২৫ লিটার বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করতে সক্ষম। স্থানীয় বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে যন্ত্রটি তৈরিতে খরচ পড়েছে ৬৫ হাজার টাকার মতো। তবে পরবর্তী পর্যায়ে এটি ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায় তৈরি করা সম্ভব হবে। অক্সিজেন জেনারেটর ও কনসেরট্রেটর বাতাসের ২১ শতাংশ অক্সিজেনকে প্রক্রিয়াজাত করে ৯৮ শতাংশে রূপান্তর করে। যন্ত্রটি একটানা সাত ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহে সক্ষম। এরপর ১০ মিনিট বিরতি দিলে আবারও টানা সাত ঘণ্টা চলে। তারিফ নিজের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে এর নামকরণ করেছেন ‘টিএলআর-সিভি-১৯’। তারিফ যন্ত্রটি উদ্ভাবনে ইউএনও পিএম ইমরুল কায়েস ও অধ্যক্ষ আয়নুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতার কথা জানায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েস জানান, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন টিম সম্প্রতি যন্ত্রটি পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা আরো কিছু অবজারভেশন দিয়েছে, লকডাউনের কারণে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, লকডাউনের জন্য সেই কার্যক্রমও স্থগিত রয়েছে।

এসএম মডেল সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আয়নুল ইসলাম বলেন, তারিফ একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। তার সাফল্যে শুধু স্কুল বা উপজেলা প্রশাসন নয়, গোটা ঈশ্বরদীবাসী গর্বিত।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
May 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!