এই মাত্র পাওয়া :

পেকুয়ায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মুজিব কিল্লা


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ এপ্রিল, ২০২১ ৮:২৫ : অপরাহ্ণ 353 Views

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দুটি মুজিব কিল্লা। উপজেলার মগনামা ইউপির শরৎঘোনা ও উজানটিয়া ইউপির মালেকপাড়ায় মুজিব কিল্লার কাজ দুটি চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজল অ্যান্ড ব্রাদার্স সরকারি সিডিউল অনুযায়ী টেকসইভাবে দ্রুত শেষ করার জন্য চলমান রেখেছেন বাস্তবায়ন কাজ।মুজিব কিল্লা দুটির কাজ শেষ হলে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা দুটির জনগণের দুঃখ লাঘবে সহায়ক হবে মনে করেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের বেশিরভাগ সাধারণ জনগণ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কষ্ট পেয়ে থাকেন। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি গবাদি পশু ও মালামাল পানিতে তলিয়ে ক্ষতি হয়। সাইক্লোন সেল্টার থাকলেও তা জনগণের জন্য অপ্রতুল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের চাহিদার অনুকূলে বর্তমান সরকার এ দুটি ইউনিয়নে দুটি মুজিব কিল্লা করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে নিয়ম অনুযায়ী কাজ দুটির কার্যাদেশ পান কাজল অ্যান্ড ব্রাদার্স। চার মাস আগে কাজ দুটি শুরু করে আগামী জুনের মধ্যে শেষ করার জন্য দ্রুত এগিয়ে গেলেও কিছু মহল চলমান কাজ নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেন।সরকারি সিডিউল অনুযায়ী প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট দফতরের লোকজন কাজ তদারকি করলেও স্থানীয় কিছু মহল ঠিকাদার থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এমন অভিযোগ ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট লোকজনের। ঠিকাদার পক্ষের লোকজন জানিয়েছেন, চলমান কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করা হবে। প্রতিদিন কোনো না কোনো সরকারি লোক কাজ তদারকি করতে আসেন। লোহা, সিমেন্ট, পাথর আর বালি পরিক্ষা করেন। এ ছাড়াও ঠিকাদার জয়নাল আবদীন কাজল কাজ তদারকি করেন নিয়মিত। মিস্ত্রিদের বলে দিয়েছেন কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম করা যাবে না। কিল্লায় ব্যবহৃত সব মালামাল উন্নত। তারপরও কিছু মহল সবসময় অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
মগনামা ইউপির সদস্য নূর মুহাম্মদ মাদু বলেন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় হলে আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণের জন্য জায়গার অভাব থেকে যায়। মুজিব কিল্লার কাজ শেষ হলে এ দুঃখটা অনেকাংশে লাঘব হবে।প্রতিদিন আমরা কাজগুলোর বাস্তবায়ন দেখে আসি।কোনো ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ নেই।ঠিকাদার জয়নাল আবদীন কাজল বলেন,অসহায় জনগণের দুঃখ লাঘবের জন্য সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প এটি।এখানে যেই অনিয়মের আশ্রয় নেবে তার জন্য হবে খুব বড় অভিশাপ।আমি টেকসইভাবে তৈরি করছি এ দুটি প্রকল্প।শুধু কথায় কথায় অপপ্রচার করে উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করে লাভ কি।আগামী জুনের মধ্যে ইনশাল্লাহ কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেব।এ ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।পেকুয়া প্রকল্প কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, এ দুটি প্রকল্প প্রতিদিন আমরা তদারকি করে থাকি। সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ঠিকাদার অনিয়ম করার সুযোগ পাবে না। অনিয়ম হলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর