দেশেই যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:০০ : পূর্বাহ্ণ 436 Views

দেশেই যুদ্ধবিমান তৈরির আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের একটা আকাক্সক্ষা আছে, বাংলাদেশেই আমরা আমাদের যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারব। কাজেই এর ওপর গবেষণা এবং আমাদের আকাশসীমা রক্ষা আমরা নিজেরাই যেন করতে পারি, সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

গতকাল যশোরের বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে অনুষ্ঠিত বিমান বাহিনীর ১১ এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ১১ এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান করেন। খবর বিডিনিউজ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। বিমান বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতির পিতার দেওয়া প্রতিরক্ষা নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী করার জন্য, আধুনিক করার জন্য ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে বিমান বাহিনীতে মিগ-২৯সহ বিভিন্ন যুদ্ধবিমান, সর্বাধুনিক অ্যাভিওনিক্স সমৃদ্ধ পরিবহন বিমান, ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার ডিফেন্স র‌্যাডার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং নতুন নতুন ঘাঁটি, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি। বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে উৎকর্ষতা আনতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব কার্যক্রম বিমান বাহিনীর সক্ষমতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। এই পতাকা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর সব সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব। জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যে কোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও গৌরবের বিষয়। ১১ স্কোয়াড্রনের বৈমানিকদের মৌলিক উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে দেশের আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক ‘জাতীয় পতাকা’ প্রদান করা হলো। এই সম্মান ও গৌরব অর্জন করায় আমি ১১ স্কোয়াড্রন এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। তিনি বলেন, কর্মদক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং দেশসেবার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আপনারা পেয়েছেন, তার মর্যাদা, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ও আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যখন দায়িত্ব পালন করেন, আমি মনে করি আপনারা সব সময় যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবেন। যেন বাংলাদেশের মানমর্যাদা সবসময় বৃদ্ধি পায়। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখে আপনারা আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।

দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সম্মানজনক অবস্থান, জাতিগঠনমূলক কাজে নিয়োজিত রাখার পাশাপাশি করোনাভাইরাস মহামারীর প্রাদুর্ভাবে বাহিনীর ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন সরকার প্রধান।

বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান প্রান্তে এই সময় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর